সুভাষচন্দ্র বোস
শেষ আপডেট: 23rd January 2025 15:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'স্বাধীনতা মানে রক্ত, এদেশে সুভাষকে বোঝা শক্ত...'
সুভাষচন্দ্র বোস। নেতাজি। যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী ব্রিটিশদের ঘুম ওড়ানোর দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে এঁকে না রাখলে কখনই তালিকা সম্পূর্ণ হবে না। আজ সেই মানুষটার জন্মদিন যাকে জেল তো বটেই, নিজের বাড়িতেও বন্দি বানিয়ে আটকাতে পারেনি ব্রিটিশ। নিজের ইচ্ছা মতো তিনি ভারত ছেড়েছিলেন, বিভিন্ন দেশ ঘুরে স্বাধীনতার ছিনিয়ে আনার লড়াই করেছিলেন।
১৯৪১ সালের এমনই এক জানুয়ারি মাস। কলকাতার নিজের বাসভবনে তখন গৃহবন্দি নেতাজি। বাড়ির বাইরে ব্রিটিশ পাহারাদার ক্রমাগত নজর রেখে চলেছে। মাঝে মাঝে বাড়িতে ঢুকে খোঁজও নিয়ে আসছে। প্রতিদিন হাইকম্যান্ডকে আপডেটও দিচ্ছে। কিন্তু এতকিছুর পরও নেতাজি পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। দেশ ছেড়ে আফগানিস্তান চলে গেছিলেন। কীভাবে সম্ভব হয়েছিল তা?
নেতাজি যে বাড়ি থেকে পালাবেন তা পরিবারের মাত্র দুজন জানতেন। এই সময়টা তিনি কয়েকদিন কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাই তাঁর ঘর থেকে কোনও আওয়াজ পাওয়া যেত না। শুধু লাইটারের শব্দ এবং সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ মিলত। নেতাজি তাঁর ভাইপো শিশিরের সঙ্গে পালানোর ছক করেছিলেন। ১৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে তাঁর ঘরে এক মহিলাকে শুতে বলেছিলেন তিনি। সেই মহিলা আর কেউ নয় তাঁর সেজ দাদার দ্বিতীয় কন্যা ইলাদেবী। এরপর গভীর রাতে বাড়ির পাঁচিল টপকে দেশ ছাড়ার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন সুভাষ।
দেশের সীমান্ত পার হওয়ার পর প্রথমে পেশোয়ার পরে আফগানিস্তান পৌঁছন তিনি। তারপর রাশিয়া হয়ে জার্মানি। তারপর থেকে নেতাজির যাত্রা কেমন হয়ে উঠেছিল তা নানা জায়গায় লিপিবব্ধ রয়েছে। এমনকী নেতাজিকে নিয়ে তৈরি হওয়া বহু সিনেমা, ওয়েব সিরিজেও বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধন্দ আজও বর্তমান। আদৌ কি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছিলেন সুভাষ?