শেষ আপডেট: 5th January 2025 13:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তর কলকাতায় সোমেন মিত্রের মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে দেরিতে হাজির হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। যে কারণে রেগে খাপ্পা হয়ে যান প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya)। এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। বলেন, 'মমতাকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে আমাদের। যে দিন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) বহিষ্কার করা হয়, সেই দিনই সোমেন মিত্রর ফোন এসেছিল। সীতারাম কেশরী সোমেনকে বলেছিলেন মমতাকে বহিষ্কার করতে হবে।'
স্মৃতি উস্কে তিনি আরও বলেন, 'আমি সোমেনকে বলেছিলাম তুমি করো না। কিন্তু সোমেনের উপর এমন চাপ তৈরি হল, সে বাধ্য হল। তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত কংগ্রেসকে আজও করতে হচ্ছে। আমি জানি না এই খাদ থেকে কবে উঠে আসব।' কংগ্রেস থেকে মমতাকে বহিষ্কারে প্রদীপের এহেন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার তৃণমূলের কাছাকাছি আসা সময়ের অপেক্ষা? এ প্রসঙ্গই খোলসা করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বললেন, 'প্রদীপদা একটি দলে আছেন। তিনি হয়তো তাঁর কম্পালশন থেকে বলেছেন। কিন্তু তাঁর মনের মধ্যে যেটা আছে তা তো বাস্তব। কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) লড়াইয়ের স্পিরিটকে মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজও মানুষ কংগ্রেস থেকে মমতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারেননি।'
কুণাল আরও বলেন, 'মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি নতুন দল প্রতিষ্ঠা করে লড়াই করেছেন। মানুষ স্বীকৃতি দিয়েছে। যদি কংগ্রেস রাজনীতিতেও দেখেন, অপ্রিয় সত্যি এই যে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুও (Netaji Subhas Chandra Boase) কিন্তু আলাদা দল নিয়ে দলীয় রাজনীতিতে সফল হয়তে পারেননি। তিনি একজন ঐতিহাসিক বিপ্লবী। স্বাধীনতা সংগ্রামী। কিন্তু সংসদীয় রাজনীতিতে দল গড়ে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র সফল। যিনি দল প্রতিষ্ঠা করে বাম জমানার পতন ঘটিয়েছেন।'
এদিন কুণালের কথায় উঠে আসে শিল্পীদের বয়কট প্রসঙ্গও। নিজের মন্তব্যে অনড় থেকে তৃণমূল নেতা বলেন, 'শিল্পীদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। প্রতিবাদের সীমা পার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে আক্রমণ করেছেন যাঁরা, তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে প্রবেশ নেই।'