শেষ আপডেট: 16th January 2025 15:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১১ সালের সঙ্গে বর্তমানে রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোর বিস্তর ফারাক। ডাক্তার, নার্স থেকে স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যাও যথেষ্ঠ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও একাংশ চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতিতেই মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এও জানিয়ে দিলেন, "মানুষের প্রাণের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। তাই কারও গাফিলতি থাকলে তাকে বরদাস্ত করা হবে না।"
মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় এদিন মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবকে পাশে বসিয়ে সরকারি রিপোর্ট সামনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নেকলিজেন্স ইজ অলসো আ ক্রাইম! হাসপাতালের সুপার, এইচওডি কী করছিলেন? যারা জানে না তাদের পাঠানো হয়েছিল। ভুল ভাল অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়া হয়েছে। তাই মেদিনীপুরের ঘটনা।"
ইতিমধ্যে ঘটনায় মেদিনীপুরের সুপার-সহ ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, "আপনারা কি মনে করেন না, অ্যাকশন নেওয়া দরকার ছিল। না নিলে তো আপনারাই বলতেন, নেওয়া হল না কেন? তাহলে গর্ভমেন্ট কোনটার মধ্যে যাবে? স্যান্ডউইচ হবে নাকি যেটা সত্য সেটা সামনে আনবে। তাই কোনও কিছু না লুকিয়ে আসল ঘটনা সামনে আনা হল।"
বহু ক্ষেত্রে জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে অপারেশন করানোর অভিযোগ ওঠে। জনমানসের সেই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা নিয়ে এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তুলেছেন, "সব কেসে সিনিয়ররা বা এইচওডি, সিস্টাররা সঙ্গে থাকবেন না কেন? এগুলোতে ভাল করে নজরে রাখতে হবে। কারণ, বাংলার বদনাম বরদাস্ত করব না। বলা হয়, তুলো ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। অথচ এখন সরকারি হাসপাতালে সব কিছু পাওয়া. যায়। এখানে অনেকে বিশ্ব সেরা চিকিৎসকও রয়েছেন। তবু গাফিলতি হচ্ছে। এর জন্য আমরা দায়ী নই। এক্সামিনেশন সিস্টেম দায়ী। এক্সামিনেশন আমরা করি না। এটার ব্যাপারে এমএসভিপি, এইচওডিকে বিশেষ কেয়ার নিতে হবে।"
কীভাবে এই এক্সামিশান সিস্টেমে বদল আনা যায়, তার জন্য একটি বিদেশি সংস্থার সাহায্যে রাজ্যের চিকিৎসক ও নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ধারাবাহিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "কাউকে দোষারোপ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য বাংলার মানুষকে আরও ভাল পরিষেবা উপহার দেওয়া।"