ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 25 April 2025 18:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় কার্যত তাণ্ডব চলেছিল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Violence)। ঘরবাড়ি, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে খুন, সবই হয়েছে জেলায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গোটা রাজ্যে শোরগোল তৈরি হয়। বাংলায় আসে মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল (NCW)। তাঁরাই বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়ে দাবি করেছে, রাজ্য সরকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
মুর্শিদাবাদের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ করেছিলেন, দরকারের সময়ে কোনও পুলিশ কর্মীকে তারা খুঁজে পাননি। কেউ সাহায্যের জন্য আসেননি। মহিলা কমিশনের রিপোর্টে এই বিষয়টিই উল্লেখ করে বলা হয়েছে, হিংসা রুখতে পুলিশ তথা রাজ্য সরকারের ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। সেই কারণে পুলিশ-প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা চলে যাচ্ছে।
মহিলা কমিশনের এও অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে তো হিংসা আটকায়নি পুলিশ। পরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও কড়া মনোভাব দেখায়নি! মহিলাদের ওপরও ব্যাপক অত্যাচার হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে তাঁরা। একই সঙ্গে বক্তব্য, সাধারণ মানুষ পুলিশের ওপর আর ভরসা করতে পারছেন না, তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা চাইছেন। মহিলা কমিশনের স্পষ্ট দাবি, মুর্শিদাবাদের ঘটনা পরিকল্পিত! মহিলাদের 'টার্গেট' করে হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবারই আবার মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপারকে বদল করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন সূর্যপ্রতাপ যাদব। তাঁকে পাঠানো হয়েছে কোচবিহারের নারায়ণী ব্যাটেলিয়নের দায়িত্বে। একইভাবে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি আনন্দ রায়কে সালুয়া ইএফআরের থার্ড ব্যাটেলিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরিবর্তে রানাঘাটের এসপি কুমার সুন্নি রাজকে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার পদে পাঠানো হয়েছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এসপি করা হয়েছে অমিত কুমার সাউকে। তিনি কলকাতা পুলিশের ডিসি (টিপি) পদে ছিলেন। এদিকে রানাঘাটের এসপি পদে পাঠানো হয়েছে আশিস মৌর্যকে। ব্যারাকপুরে পাঠানো হল কোচবিহারের নারায়ণী ব্যাটেলিয়নের বর্তমান আধিকারিক অংশুমান সাহাকে। হিংসার ঘটনা সামলাতে না পারার জন্য এই বদল কিনা, সে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।