শেষ আপডেট: 16th June 2024 13:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্রমাগত প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম। ফুঁসছে তিস্তা নদী। পাহাড়ি রাস্তায় নতুন করে একের পর এক ধস নামছে। লাচুং, চুংথাম, জঙ্গুতে আটকে রয়েছেন এক হাজারের বেশি পর্যটক। সিকিম সহ দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স অঞ্চলে বৃষ্টি কমার নামই নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সিকিমে ১৯৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে থমকে রয়েছে উদ্ধারকাজ।
শুক্রবার সকালে নতুন করে ধসের ঘটনা ঘটেছে উত্তর ও দক্ষিণ সিকিমে। তিস্তার জলস্তর এতটুকু কমেনি। শনিবার সড়কপথে শিলিগুড়ি-সিকিম যাতায়াতের ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে শুধুমাত্র হালকা যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার গভীর রাত থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে গিয়েছে। তাই নিরাপত্তার জন্য ফের ১০ নং জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সিকিমের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। পরিস্থিতি খানিকটা উন্নতি হলেই ফের ওই জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিকিম প্রশাসন।
তিনদিন পরেও সিকিমের সামগ্রিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি ঘটেনি। সারাদিন বৃষ্টি আর ঘন কালো মেঘের জেরে কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতা। রবিবার ধসের কারণে নতুন করে মাঙ্গন থেকে গ্যাংটক এবং সিংথাম যাওয়ার একাধিক রাস্তা ধসের কবলে পড়েছে।
অন্যদিকে, এয়ারলিফটের জন্য সব রকম প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লাচুংয়ে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি এবং কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতা কম থাকায় হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চতা রয়েছে। ক্রমেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে সিকিম প্রশাসনের।
এদিকে উত্তরবঙ্গেও বিরামহীন বৃষ্টি চলছে। যার জেরে কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের অনেক বাড়িতেই ঢুকে পড়েছে তিস্তা নদীর জল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা রয়েছে। দুর্যোগের সম্ভাবনা আছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। বৃষ্টির প্রভাবে উত্তরবঙ্গে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি এবং পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের সর্তক করেছে আবহবিদরা।