Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 5 February 2024 17:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনার: নরেন্দ্রপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। ছাত্রের দিদিমা ও মাসির অভিযোগ, অপ্রতিমের মৃত্যুর জন্য তাঁর বাবা দায়ী। যদিও ছাত্রের মায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তাঁর ঠাকুরদা। তাঁর দাবি, অপ্রতিমের মায়ের কললিস্ট খুঁজলেই নাতির মৃত্যুর রহস্যভেদ হবে।
রবিবার নরেন্দ্রপুরের একটি পুকুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র অপ্রতিম দাসের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রতিম গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হাওয়ার আগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে তিনি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন। খাওয়া দাওয়া চলার সময়ে 'কাজ আছে' বলে সেখানে থেকে বেরিয়ে যান অপ্রতিম। বাড়ি ফিরে অপ্রতিমকে খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ছাত্রের মা। খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ছেলের হদিশ পাননি। থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। রবিবার পুকুর থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন। সেই সময় পরিবার দাবি করেছিল, অপ্রতিমকে খুন করা হয়েছে।
সোমবার এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। অপ্রতিমের মৃত্যুর জন্য বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তিই দায়ী বলে মনে করছেন দুটি পরিবারই। অপ্রতিমের ঠাকুরদা সুব্রত দাসের অভিযোগ, "নাতি খুবই ভাল ছেলে। দুই নাতির ভরণপোষণের দায়িত্ব আমিই বহন করি। তবে বৌমার আচরণ ঠিক নয়। কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। দিনের পর দিন বাড়ি ফিরত না। কাদের সঙ্গে সে ঘোরাফেরা করে বাড়িতে কিছু বলত না।"
সুব্রতবাবুর কথায়, "বৌমার কোনও পরিচিত এই কাজ করেছে। নাতির খুনের জন্য বৌমা দায়ী। তদন্তকারীরা বৌমার ফোনে ওই দিনের কললিস্ট খতিয়ে দেখলেই অপ্রতিমের খুনের রহস্যভেদ হবে।"
যদিও মৃত ছাত্রের দিদা ও মাসি অবশ্য ছাত্রের বাবাকেই দায়ী করেছেন। দিদা রেবা মণ্ডলের কথায়, মেয়ে রোজগার করে দুই নাতিকে পড়াশোনা করাচ্ছে। অপ্রতিমের বাবা তাঁদের দেখে না। নাতি চেয়েছিল বড় অফিসার হতে। সে খুবই মেধাবী ছাত্র। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। কেউ বা কারা নাতিকে খুন করে পরে দেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
মাসি মিতা নস্করের অভিযোগ, দুই সন্তান, স্ত্রী থাকতেও অপ্রতিমের বাবা আরও দুটো বিয়ে করেছে। ছেলেদের দেখত না। এই খুনের পিছনে অপ্রতিমের বাবার হাত রয়েছে। তাঁর আরও দাবি, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়ার সময়ে অপ্রতিমের দেহে পচন ধরেনি। তাঁকে অন্য কোথায়ও মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যদি একটু তৎপর হত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না।
Advertisement
Advertisement