শেষ আপডেট: 26th March 2024 13:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: শতাব্দী প্রাচীন সতীমায়ের দোল মেলাকে ঘিরে উন্মাদনা নদিয়ার কল্যাণীতে। লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামল ঘোষপাড়ায়।
প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই মেলায় প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমাগম হয়। এই সময় বাংলাদেশ থেকেও আসেন ভক্তরা। মূলত কর্তাভজা সম্প্রদায়ের মানুষ এই মেলার সূচনা করেন। মেলায় একটি ডালিম গাছকে ঘিরেই হয় পুজোর আয়োজন। কথিত আছে, সতীমা এই ডালিম গাছের নীচে বসেই সাধনা করেন।
মন্দির লাগোয়া হিমসাগর নামের পুকুরে স্নান করে ভক্তরা সতীমায়ের সাধনাস্থল ডালিম গাছে ঘোড়ার মূর্তি বাঁধে এবং পুজো দেন। মানুষের বিশ্বাস হিমসাগর পুকুরে স্নান করে ডালিম গাছে পুজো করলে মনের কামনা পূর্ণ হয়। সতীমায়ের সপ্তম পুরুষ সঞ্জয় পাল দেবমহন্ত বলেন, আসলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। সতীমায়ের ভক্তরা বিশ্বাস করেন, হিমসাগরে ডুব দিলে মূক ও বধিরের মুখেও বোল ফোটে। ডালিম গাছের গোড়ার মাটি সর্ব রোগহরা। এই বিশ্বাস নিয়েই চারশো বছর ধরে মানুষ আসেন সতীমায়ের পুজো দিতে।
দোল পূর্ণিমার আগের রাত থেকে বসে বাউলের আখড়া। রাজ্যের নামী বাউল শিল্পীরাও নানা সময়ে গান শুনিয়েছেন সতীমায়ের মেলায় আসা দর্শনার্থীদের। গত কয়েক বছর ধরে এই মেলা পরিচালনা করছে কল্যাণী পৌরসভা। সদস্য দেবাশিস হালদার জানান, বহু মানুষের সমাগম হয় এই সতীমায়ের মেলায়। তাই তাদের আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়ার যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা খেয়াল রাখার চেষ্টা করে পুরসভা। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকে প্রচুর পুলিশকর্মী।