শেষ আপডেট: 7th February 2025 17:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসছে প্রায়ই। সেই আবহেই শুক্রবার কল্যাণীতে বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে। যেই কারখানা আবার বেআইনি বলে জানা যাচ্ছে। যদিও বাংলায় বহুদিন ধরেই বাজির কারখানা রয়েছে। সব কারখানাই তো আর বেআইনি নয়। কোন কোন মাপকাঠিতে বিচার করে বাজি কারখানাগুলিকে বেআইনি বলা হয় তাহলে?
নিয়ম বলছে, জেলাশাসক ১৫ কেজি পর্যন্ত বাজি ও তার মশলা তৈরির জন্য লাইসেন্স দেন। সেই ওজন যদি ১৫ কেজি থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত হয়, 'কন্ট্রোলার অব এক্সপ্লোসিভস'-এর থেকে লাইসেন্স নেওয়া যায়। এর থেকেও বেশি ওজনের বাজির ব্যবসা করতে হলে তখন 'চিফ কন্ট্রোলার'-এর কাছে আবেদন জানালে তিনি লাইসেন্স দেন। অন্যদিকে বাজির কাঁচামাল, মশলা তৈরি করে তা প্যাকেটবন্দি করার জন্যেও আলাদা করে অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
পরিবেশ দফতরের একটি তথ্য বলছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র সবুজ বাজি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে যাতে বেআইনি বাজি বিক্রি করা না হয়, তার জন্যও আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশ দফতরের হিসাব বলছে, বাজি বানানোর ফ্যাক্টরির মধ্যে দূরত্ব থাকা উচিত কম করে ১৫ মিটার। তবে অনেকেরই মতে, এ সং নিয়ম কেবল খাতায় কলমেই রয়েছে। বাস্তবায়নের কোনও চিহ্নই নেই। তা না হলে রাজ্যে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে না।
গত কয়েক বছরে বাংলার বহু জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এগরায় ২০২৩ সালে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। সেই নিয়ে যখন চর্চা অব্যাহত, তখনই আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরপরই তালিকায় উঠে আসে দত্তপুকুরের ঘটনা। সেখানে মারা যান ৭ জন। আর এবার কল্যাণী।
বস্তুত, কল্যাণীর রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। কীভাবে এতবড় বিস্ফোরণ ঘটল, জেলা প্রশাসনের কাছে সেই রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।