শেষ আপডেট: 13th December 2024 12:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: আবাসের ঘর না মিললে বিয়ে হবে না। তাই বিডিওর দ্বারস্থ হলেন বছর ৬০ এর আব্দুর শুকুর মোল্লা। গ্রামে গ্রামে গিয়ে আবাস নিয়ে এ যাবত অনেক অভাব অভিযোগ শুনেছেন বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী। কিন্তু ঘরের জন্য বিয়ে আটকে যাওয়ার করুণ কাহিনী শুনলেন এই প্রথম। স্বভাবতই প্রথমে অবাক হলেন। পরে পরামর্শ দিলেন এখনই আবেদন করার।
আব্দুর শুকুর মোল্লার বাড়ি বেলডাঙার বেগুনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজীসাহায়। ঘর মানে পাটকাঠির দেওয়াল আর দরমার ছাদ। শীত হোক আর গ্রীষ্ম,সে ঘরে আলো হাওয়া কমতি নেই। কিন্তু এই ঘরের দৌলতেই এখন বিয়ে আটকেছে শুকুর মোল্লার। কোনও মেয়েই বউ হয়ে আসতে চাইছেন না শুকুর মোল্লার ভাঙা ঘরে।
বছর ষাটেকের আব্দুর শুকুর মোল্লা দাবি করলেন, প্রায় চার মাস আগে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। তিন ছেলের কেউই নিজেদের ঘরে থাকতে দেন না তাঁকে। যদিও তাঁদের কারওই পাকা ঘর নেই। এখন পাটকাঠির একটি কুঁড়েঘরে একাই বসবাস করছেন আব্দুর শুকুর মোল্লা। তিনি বলেন, "বাকি জীবন কাটানোর জন্য একজন জীবনসঙ্গীর খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই কারণে বিয়ে করতে চাই আমি। কিন্তু আমার এই ভাঙা পাটকাঠির ঘরে কোনও মেয়েই তো বউ হয়ে আসতে চাইছে না।"
উপায় না দেখে বুধবার বেলডাঙা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারীর দফতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। গোটা বিষয়টি জানিয়ে আবাস যোজনায় একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করেন। জানান, একটা ঘর মিললেই বাকি জীবনটা কাটানোর জন্য একজন জীবনসঙ্গী তিনি খুঁজে নিতে পারবেন।
আব্দুর শুকুর মোল্লার এমন কাতর আবেদন শুনে বিডিও প্রথমে অবাক হয়ে যান। পরে বলেন, "আমি ওই ব্যক্তিকে ঘরের জন্য আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছি।" এখন ঘরের চাবি পেলেই সুখের চাবির খোঁজে পথে নামবেন বেলডাঙার আব্দুর শুকুর মোল্লা।