ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন!
শেষ আপডেট: 30th September 2024 15:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: রাতের মায়ের সঙ্গে অশান্তি। ঝগড়ার মধ্যেই প্রৌঢ়া মাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ছেলে! রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার ভীমপুর থানার উত্তরপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, দুবছর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত অভিযুক্ত। তার আচরণে অসংলগ্ন হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
অভিযুক্ত যুবকের নাম সুকান্ত বিশ্বাস। আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সুকান্ত অনেকদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। একাধিক জায়গায় তাঁর চিকিৎসা করিয়েছিল পরিবার। এমনকী চিকিৎসার জন্য তাকে অনেক সময়ে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হতো। ওষুধের মাধ্যমে কিছুটা স্বাভাবিক আচরণ করলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি সে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দু'বছর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পেয়েছিল সুকান্ত। চাকরি যোগ দেওয়ার পরে তার আচরণে কিছু অসংলগ্নতা দেখা যায়। বেশ কয়েকবার অপ্রাসঙ্গিক কাজও করে ফেলেছিল সে। ফলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে। এরপর থেকে বাড়িতেই থাকত ওই যুবক।
আত্মীয়দের অভিযোগ, রবিবার রাতে সুকান্তর সঙ্গে তাঁর মা যমুনার অশান্তি হয়েছিল। সেই সময়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মায়ের উপর চড়াও হয় সে। প্রৌঢ়া মাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ছেলের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করলেও অবশেষে পারেননি। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়া। তাঁর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন। অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রৌঢ়াকে তিনি ভীমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তারবাবুরা।
অভিযুক্ত মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। এই ঘটনার পরে ওই যুবককে বাড়িতে রাখতে চান না তাঁর পরিবার। অভিযুক্তকে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে ফের কারও উপর হামলা চালাতে পারে সে। ফলে সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক।