শেষ আপডেট: 2nd June 2024 19:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: কালীগঞ্জের মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গেলেন রাজমাতা অমৃতা রায়। এবছর কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেছে। ঘটনাকে নৃশংস বলে ব্যাখ্যা করলেন কৃষ্ণনগরের রাজমাতা। বললেন, "গুলিতে শরীর ঝাঁঝরা করার পরে মাথা কেটে নিয়ে গেছে, এ কোন যুগে বাস করছি?"
নদিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া মিটেছে। কিন্তু ভোট পরবর্তী এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রাজ্যবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কালীগঞ্জ দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখ। জানা গেছে, তিনি আগে সিপিএম করতেন। তিন-চার মাস আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার ছিল শেষ দফার ভোট। এদিন সন্ধেয় বাড়ির অদূরে ক্যারাম খেলছিলেন হাফিজুর। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হাফিজুল। তখনই মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধর থেকে মাথা কেটে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।
বিকেলে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় সেখানে গেলে তাঁকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। তিনি মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস জানান। এরপরেই অমৃতাদেবী বলেন, "এলাকার মানুষকে ভয় দেখাতে ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুন করার পরে মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এ আমরা কোন যুগে বাস করছি?"
ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবার এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তর দাবি করেছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদ থেকে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। কালীগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের দাবি, “ফায়দা নিতে অরাজনৈতিক ঘটনায় রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছে বিজেপি। পুলিশ তদন্ত করছে।" পুলিশও জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। খুনের নেপথ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।