শেষ আপডেট: 4th July 2024 18:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: ডাক্তার অনির্বাণ দত্তের 'অস্বাভাবিক' মৃত্যুর তদন্ত শুরু করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান পুলিশকর্তারা। দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সঙ্গে । তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর দায়ের করা এফআইআরে মোট ১১ জনের নাম রয়েছে। কেন ওই তরুণ চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত হল না সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার বহরমপুর থানায় এফআইআর করেন অনির্বাণের প্রাক্তন স্ত্রী শর্মি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ওই চিকিৎসকের মৃত্যু 'অস্বাভাবিক'। লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, গত ২৫ জুন সকালে বহরমপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই চিকিৎকের দেহ উদ্ধার হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে কাছের একটি নার্সিংহোমে তাঁর দেহ নিয়ে গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে স্থানীয় এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছ থেকে মৃত্যুর শংসাপত্র নেন তাঁরা। ওইদিন দুপুরে বহরমপুরের খাগড়াঘাট শ্মশানে তরুণ চিকিৎসকের শেষকৃত্য হয়। এখানেই প্রশ্ন শর্মির।
তাঁর দাবি, নিয়ম অনুযায়ী কোনও হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক মৃত্যুর শংসপত্র দিতে পারেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের কাছ থেকে শংসাপত্র জোগাড় করা হয়েছিল। তাছাড়াও ময়নাতদন্ত ছাড়াই শেষকৃত্যও করা হয়েছে। এর আগে ২৭ তারিখে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন শর্মি চট্টোপাধ্যায়। তখন তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রয়াত চিকিৎসকের ছেলেকে শেষকৃত্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
কেন ডাক্তার অনির্বাণ দত্তের দেহে পোস্টমর্টেম হল না? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ডক্টরস ফোরামও। গত শনিবার বহরমপুরে এসে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ডেপুটেশনও জমা দেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
শর্মি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ডাক্তার অনির্বাণের। তাঁদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কলকাতায় থাকেন শর্মি। তিনিও পেশায় চিকিৎসক। ছ'মাস আগে ডাক্তার অনির্বাণ ও শর্মির ডিভোর্স হয়। চারমাস আগে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে বিয়ে করেন অনির্বাণ। তারপর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।