প্রতিবাদে আঁধারের কৃষ্ণনগরের লক্ষ্মীপুজোর প্যান্ডেল
শেষ আপডেট: 18th October 2024 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: লক্ষ্মী পুজোয় অন্ধকারে ডুবে থাকল আশ্রমপাড়ার মণ্ডপ। জ্বালানো হল না আলো। বাজলো না মাইক। লেখা হল প্রতিবাদী পোস্টার। কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিচার চেয়ে এই ভাবেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্যান্ডেলের কোথাও লেখা "লক্ষ্মী পুজোয় লক্ষ্মী ভাসান", কোথাও আবার লেখা "বিচার চাই"।
কৃষ্ণনগরের আশ্রমপাড়ার এলাকায় প্রতিবছর বারোয়ারির লক্ষ্মীপুজো করা হয়। বেশ ধুমধাম করেই হয় পুজোর আয়োজন। আলোয় ঝলমল করে গোটা প্যান্ডেল। সকলেই আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে এবার পাড়ার লক্ষ্মীপুজো কাটল আলো জ্বলেনি। বাজানো হয়নি মাইক। স্থানীয়রা চাইছেন, ঘটনার বিচার হোক। তরুণীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
পুজো উদ্যোক্তাদের এক সদস্য অর্ক বিশ্বাস বলেন, "আমরা এবছর আলো জ্বালাচ্ছি না। অন্ধকারের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুজো করছি। বোন আমাদের পুজোর আগেই ছেড়ে চলে গেল৷ সেই বোনের খুনিদের শাস্তি চাই আমরা।"
১৬ অক্টোবর সকালে কৃষ্ণনগরের আশ্রমপাড়া এলাকায় মহিলা পরিচালিত একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। তার দেহ অর্ধনগ্ন ও অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে কয়েকজন দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
এরপরেই স্কুল ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের প্রেমিক রাহুল বসুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান তারা। এরপরেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে যুবকের ধৃত যুবকের বাবা-মা ও দুই বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার কথা উড়িয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে ময়নাতদন্তকারী বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরা ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাননি। মৃত্যুর আগে ছাত্রীর দেহ আগুন ধরানো হয়েছিল। ইতিমধে ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল থেকে একটি খালি বোতল ও একটি দেশলাই পেয়েছে। সেখানে থেকে পুলিশের সন্দেহ ছাত্রী নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। যদিও মৃতা ছাত্রীর পরিবারের সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন। বৃহস্পতিবারই নবদ্বীপ শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।