শেষ আপডেট: 14th December 2024 21:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি পরিবার। সে কারণেই রাগে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকার ঘটনা। শনিবার সকালে শোয়ার ঘর থেকে মহিলা চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম পৌলমী বিজয়পুরী (৩২), বহড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। পৌলমীর বাবা প্রশান্ত বিজয়পুরীও পেশায় চিকিৎসক। মুর্শিদাবাদের কান্দি এলাকার বাসিন্দা পৌলমী মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০১৯ সালে তিনি এমবিবিএস পাশ করেন। পরে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে যোগ দেন বহড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
পরিবারের দাবি, মানসিক অবসাদ থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে মেয়ে। কিন্তু আত্মীয়দের অভিযোগ, নিজের পছন্দের পাত্রকে মেনে না নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তরুণী।
মহিলা চিকিৎসকের আত্মীয়দের একাংশের দাবি, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পৌলমীর। তাঁকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শুক্রবার রাতে বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় চিকিৎসকের। এরপর ভাইকে নিয়ে দোতলার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। রাতে খাবার খাওয়ার জন্য তাঁকে ডাকলে দরজা খোলেননি পৌলমী। বেশ কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কির পর দরজা খুলে যায়। তখনই চিকিৎসককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বলে পরিবার সূত্রে খবর। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও লাভ হয়নি। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পৌলমীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হলেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে চলছে তদন্ত।
তবে এটা আত্মহত্যা নাকি খুন তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই পুরো বিষয় পুলিশের কাছে পরিষ্কার হবে।