শেষ আপডেট: 29th October 2024 19:21
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সিবিআই গ্রেফতার করেছিল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। চলতি বছরের মে মাসে তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান। জেলের বাইরে এলেও দলের সাংগঠনিক কাজকর্মে বিশেষ আর দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। এবার তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাহে আলম জানালেন, বড়ঞার বিধায়কের সমস্ত সম্পর্ক ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের কোনও সাংগঠনিক কর্মসূচিতে তাঁকে আর ডাকা হবে না।
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনিও মাহে আলমের কথাকে সমর্থন জানান। রবিউল আলম চৌধুরী বলেন, “বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দলের সমস্ত কাজ থেকে দূরে রাখতে বলেছে রাজ্য নেতৃত্ব। এর কী কারণ, তা আমাদের জানা নেই। তবে এই কারণেই এই মঞ্চে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ” যদিও বিধায়ক দাবি করেন দলের তরফে এমন কোনও বার্তা তাঁকে দেওয়া হয়নি।
সোমবার বড়ঞা ব্লকের ডাকবাংলা কৃষক বাজার চত্বরে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হয়েছিল। প্রধান বক্তা ছিলেন সাংসদ ইউসুফ পাঠান। ওই মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেতা মাহে আলম বলেন, "এখানকার বিধায়ককে দলের কোনও সাংগঠনিক কাজে রাখা যাবে না। উপরমহল থেকেই এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।"
বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে এই বার্তা কানে যেতেই জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, "কেন ওঁরা এরকম মন্তব্য করেছেন, তা আমি জানি না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমি বিধানসভায় যাবতীয় কাজ করছি। আমার কাছে কিন্তু এরকম কোনও নির্দেশিকা নেই।”