শেষ আপডেট: 2nd November 2024 14:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: শাড়ি গামছা থেকে ধূপ গঙ্গাজল, আলতা সিঁদুর,ফল-মূল থেকে মিষ্টান্ন, পুজোয় দেওয়া সব সামগ্রী নিলাম হয়। আর সেই নিলামের টাকায় সারা বছর নানা পুজো হয়। বছরের পর বছর পান্ডুয়ার বেলুন গ্রামে হ্যাপা কালীর পুজো হয়ে আসছে এভাবেই। কারও থেকে কোনও চাঁদা নেওয়া হয় না। পুজোর সামগ্রী নিলাম করা হয় কালীপুজোর পরদিন।
মা কালী প্রতিষ্ঠা করতে অনেক হ্যাপা পোহাতে হয়েছিল, তাই নাম হয়েছে হ্যাপা কালী। পান্ডুয়ার বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুন গ্রামে হয় এই হ্যাপা কালীর পুজো। তন্ত্র মতে দেবীর পুজো হয়। ছাগ বলি হয় পুজোর রাতে। প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজোতে আজও রীতি মনে হয় নিলাম।
কথিত আছে, এলাকার বাগদিপাড়ার কয়েকজন ডাকাত এই পুজোর সূচনা করেন। মা কালীর পুজো দিয়ে তাঁরা ডাকাতি করতে যেতেন। প্রাচীন এই পুজোয় ব্যবহৃত গঙ্গাজল থেকে আলতা সিঁদুর, সবই নীলাম হয় পুজোর পরের দিন। নিলামে ওঠা প্রসাদ নিতে ভিড় জমান পার্শ্ববর্তী দশ বারোটি গ্রামের মানুষ। নিলাম থেকে আয় হওয়া অর্থ কাজে লাগানো হয় পুজোতে। এমনটাই জানালেন বেলুন হ্যাপাকালী বারোয়ারির সম্পাদক সুদীপ ঘোষ।
এক সময় পাতার ছাউনির ঘর ছিল। বর্তমানে পাথর বসানো মন্দির হয়েছে। হ্যাপা কালীর পুজো এখন অনলাইনেও দেওয়া যায়। ভক্তরা পুজোয় যা কিছু দেন সবই নিলামে ওঠে। যিনি বেশি দাম দেন জিনিস তাঁর। হ্যাপা কালী তলায় নিলামে কেনা জিনিস থেকে পুণ্যলাভ হয় বলে বিশ্বাস। তাই অনেক জিনিস একটু বেশি দামে কিনে নিতে দ্বিধা করেন না গ্রামবাসীরা।