শেষ আপডেট: 12th February 2025 15:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: বিক্ষোভের নামে বিডিও অফিসের ভিতরে থাকা বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতির অফিস ভাঙচুরের অভিযোগও উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ছুড়ে মারা হল চেয়ার, ভেঙে দেওয়া হল দরজার লক এবং সহ-সভাপতি ঘরের সামনের নেমপ্লেট। বুধবার ঘটনাটি ঘটে শান্তিপুরের বিডিও অফিসে।
গত সোমবার শান্তিপুরের বিডিওর বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি। ঘরের মধ্যে বিডিওকে আটকে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ চালায় বিজেপি। পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন তুলে দেওয়া হয় বিডিওর হাতে।
একজন সরকারি আধিকারিকে কেন এভাবে হেনস্থা করা হল, সেই প্রশ্ন তুলে আজ বিডিও অফিসের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বিডিও অফিসের ভিতরেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতির ঘর। অভিযোগ, যখন বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডল অফিসে ঢোকেন তখনই আচমকা সেই অফিস ঘরে ঢুকে পড়েন তৃণমূলে নেতাকর্মীরা। ঢুকেই দরজার লক ভেঙে ফেলে। পাশাপাশি চেয়ার ছুড়ে মারা হয়।
অভিযোগ, এরপরেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীর অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং তার ঘরের সামনে থেকে নেমপ্লেট খুলে ফেলে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি,তাঁরা সুস্থভাবেই অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন। বিজেপি যেভাবে সরকারি আধিকারিকদের হেনস্থা করেছে তার প্রতিবাদে জানাচ্ছিলেন। কিন্তু এখানে যারা চেয়ার ছুড়ে মেরেছে কিংবা ভাঙচুর করেছে তারা হয়তো বিজেপি কর্মী।
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, "সরকারি অফিস ভাঙচুর করা তৃণমূলের কালচার। এখানে শুধুমাত্র বিজেপি বসেছে এমনটা নয় এখানে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরাও বসেন। সেই অফিস ভাঙচুর করা মানে সকলকেই অপমান করা।" এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে হাজার হাজার বিজেপি কর্মী বিডিও অফিস ঘেরাও করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ভাঙচুরের ঘটনায় শান্তিপুর ব্লক বির তৃণমূল যুব সভাপতি পরেশ বিশ্বাসকে আটক করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।