শেষ আপডেট: 29th July 2024 16:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: টাকা জমিয়ে বহু কষ্টে পাকা বাড়ি তৈরি করেছিলেন নতুন শিবপুরের বাসিন্দা রাধারানি সিংহ। চোখের পলকে গঙ্গায় তলিয়ে গেল সাধের সেই বাড়ি। এখন মাথার উপর ছাদ হারিয়ে সামান্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন রাধারানি। কোথায় যাবেন, কী করবেন, কিছুই বুঝতে পারছেন না। বর্ষায় এমনই ভয়ঙ্কর ভাঙনের মুখে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ।
সোমবার সকাল থেকে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুর এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। তাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যে পর পর ১০ থেকে ১২টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। কৃষি জমি, শৌচালয় সবই এখন গঙ্গাগর্ভে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গৃহহীন হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে অনেকেই। যে কোনও মুহূর্তে আরও ৫ থেকে ৬টি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁরা ব্লক প্রশাসনের কাছে ভাঙন বিষয়ে জানিয়েছেন। সাহায্য় চেয়েছেন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এলেও প্রশাসনের কেউ, গ্রামের আসেননি। তাই তাঁরা দিশেহারা।
প্রতিবারই ভাঙনের মুখোমুখি হয় সামশেরগঞ্জ। গত সেপ্টেম্বরও ভয়াবহ ভাঙনে মুখে পড়েন সেখানের বাসিন্দারা। চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যায় ৬টির বেশি বাড়ি। সেগুলির মধ্যে একটি দোতলা বাড়িও ছিল। সামশেরগঞ্জের ঘনশ্যামপুপর, মহিষতোলা এলাকায় রীতিমতো কান্নার রোল পড়ে গিয়েছিল। ভিটে মাটি হারিয়ে একাধিক পরিবার কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দুষেছিলেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল ভোট এলে নেতা, মন্ত্রীরা গঙ্গা ভাঙন রোধের কথা বলেন। কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয় না। শুধু বালির বস্তা ফেলেই দায় সারে প্রশাসন।