শেষ আপডেট: 25th March 2025 13:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: ব্যাঙ্কের পাসবুক হারানোর অভিযোগ জানাতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র। গবেষক ডক্টর ইমন কল্যাণের অভিযোগ, থানার মধ্যে ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। কেড়ে নেওয়া হয় ব্যাগ। ডোমকল থানার আইসি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
ওই গবেষকের অভিযোগ, খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র ছিলেন তিনি। সেখানকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পাসবই হারিয়ে যাওয়ায় ডোমকল থানায় জিডি করাতে গিয়েছিলেন। ডিউটি অফিসার তাঁকে ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে স্ট্যাম্প মেরে আনতে বলেন। কিন্তু দূরত্বের কারণেই তা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। কিন্তু ইমন কল্যাণের যুক্তি মানতে চাননি ওই অফিসার। তাঁর কথায়,"এই নিয়েই আমাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরেই থানার মেজবাবু সেখানে এসে আমাকে অন্য় একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যান। আমি ভেবেছিলাম আমার সমস্য়া সমাধান করে দেবেন তিনি। কিন্তু ওই ঘরে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেধরক মারধর শুরু করেন তিনি। সঙ্গে চলে অশ্রাব্য গালিগালাজ। ওর সঙ্গে যোগ দেন আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মী। এরপরে আমাকে লকআপের পাশে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে বসিয়ে রাখা হয়।"
খবর পেয়ে ইমন কল্যাণের বাবা-মা থানায় যান। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গেও খুবই খারাপ ব্যবহার করেন থানার পুলিশ কর্মীরা। সেই সময় থানায় আসেন আইসি। তাঁর হস্তক্ষেপেই পরে জিডি নেওয়া হয়। থানা থেকে বেরিয়ে ডোমকল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান তিনি। ক্ষুব্ধ ইমন কল্যাণ এরপর জেলার পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, এবং ডোমকল থানার আইসি-র কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, থানায় একজন সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে পুলিশের এমন আচরণ নিন্দনীয় এবং যাঁরা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ডক্টর ইমন কল্যাণের এই অভিজ্ঞতার কথা জানাজানি হতেই ডোমকল শহরের নাগরিকদের মধ্য়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। থানায় গিয়ে একজন মেধাবী ছাত্রের এমন অভিজ্ঞতার কথা জেনে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যদি একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি থানায় গিয়ে সুবিচার না পান, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের সুর চড়ছে। এ ঘটনায় ডোমকল থানার আইসি পার্থসারথী মজুমদার জানান, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।