শেষ আপডেট: 4th January 2025 15:15
কাজল বসাক, নদিয়া
শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন হাসপাতালেই প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে নাকি নিজের ডিপার্টমেন্ট ছাড়া অন্য সব ডিপার্টমেন্টে কাজ করানো হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় ওই মহিলা সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসককে দ্বিতীয় 'অভয়া' করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গোটা ঘটনাটি জানিয়ে নদিয়ার শান্তিপুর থানা, নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের সুপার তাঁকে দ্বিতীয় 'অভয়া' করে দেওয়ার হুমকি দেন।
অভিযোগকারী ওই মহিলা চিকিৎসক দাবি করেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি শান্তিপুর হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। তারপর থেকে কাজের জায়গায় তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। রাতে হাসপাতালে নিরাপদ বোধ করছেন না তিনি। তাও রোস্টারে বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিভিন্ন রকম অসহযোগিতা নিয়ে একাধিকবার তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। তিনি বলেন, হাসপাতালের অন্য কারও বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। এখানকার অন্য চিকিৎসকরা যথেষ্ট সহৃদয়। এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধেও আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। তবে হাসপাতালের সুপার আমাকে পদে পদে হেনস্থা করছেন। যে ভাষায় উনি কথা বলছেন সেটা আমার কাছে একটা ভয়ানক অভিজ্ঞতা।
মহিলা চিকিৎসকের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানা। যদিও পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল সুপার তারককুমার বর্মন। তিনি বলেন, "ওঁর অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এখানে রোস্টার কমিটি আছে। তাঁরাই রোস্টার করেন। আমার পরামর্শ নেওয়া হয়। এটুকুই। সবাইকে যেভাবে ডিউটি দেওয়া হয়, সেভাবেই ওঁকে ডিউটি দেওয়া হয়। আর ৩১ তারিখ আমার সঙ্গে ওঁর দেখাই হয়নি। তাই হুমকি দেওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। শান্তিপুর হাসপাতালে রোগীর চাপ ভালই আছে। উনি বোধহয় সেই ওয়ার্ক লোডটা নিতে পারছেন না।"