মামিনুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ 

বিএসএফের বাধায় পাট চাষ করতে না পেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চর লবণগোলার চাষিরা। গত শনিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাষিদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়ায়।

চাষিদের অভিযোগ, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে সীমান্ত থেকে ৬০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত জমিতে পাট চাষের অনুমতি থাকলেও, এবার তা মেলেনি। সেই অনুমতি না মেলায় চাষের মরশুম হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। পাট চাষ বন্ধ হলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে জানান চাষিরা। বিষয়টি জানার পর, ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএসএফ-এর স্থানীয় ক্যাম্পে যান। উপস্থিত আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সৈবুর রহমান, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোশারফ হোসেন-সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। তবে বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় পূর্ণাঙ্গ আলোচনা সম্ভব হয়নি। 

আজ শুক্রবার ভগবানগোলা ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, ভগবানগোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিশ্বজিৎ হালদার এবং বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারের উপস্থিতিতে আবার বৈঠক হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে শুভম পাঠক জানান, সীমান্ত এলাকার বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে এবার জিরো পয়েন্ট থেকে অন্তত ১৫০ মিটার ছেড়ে পাট চাষ করতে হবে।

শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে স্থির হয়, সীমান্ত থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চাষের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কৃষকদের আশঙ্কা, প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া সমস্যা সমাধান হবে না এবং আর্থিক সংকট আরও বেড়ে যাবে। বিএসএফের সিদ্ধান্তের উপরই এখন নির্ভর করছে  চর লবণগোলার চাষিদের পাটচাষের ভবিষ্যৎ।