শেষ আপডেট: 5th November 2024 19:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: দাদুর বাড়িতে ঘুরতে এসে প্রতিবেশীর যৌন লালসার শিকার হয়েছিল নাবালিকা। অভিযুক্তের বাড়ির আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বস্তাবন্দি দেহ। ফরাক্কার নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ২১ দিন পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালতে জমা দিল পুলিশ। ৬২২ পাতার চার্জশিটে পকসো আইনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুই অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদার ও শুভ হালদারের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে। সোমবার দুপুরে দুই অভিযুক্তকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল।
পুজোর সময়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে দিল্লি থেকে ওই নাবালিকা দাদুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। গত ১৩ তারিখ সে ওই বাড়ির সামনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ৯ বছরের ওই নাবালিকা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে খোঁজ চালানোর পরে প্রতিবেশী দীনবন্ধু হালদারের বাড়ির আলমারি থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ। এরপরেই রোষের মুখে পড়ে দীনবন্ধু। তাকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয়। গণধোলাই খেয়ে হাসপাতালে দু'দিন চিকিৎসাধীন ছিল অভিযুক্ত। পরে তাকে জেরা করে শুভ হালদার নামে আরও এক অভিযুক্তের কথা জানতে পারে ফরাক্কা থানার পুলিশ। গত ১৯ অক্টোবর শুভকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় দীনবন্ধু জানিয়েছে, সে ওই নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির সামনে থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে তাকে খুন করার সময় দীনবন্ধুকে সাহায্য করেছিল শুভ। মঙ্গলবার আদালতে দুই অভিযুক্তের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানানো হয়েছে।