ঘটনাস্থলের ছবি
শেষ আপডেট: 7th February 2025 16:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নদিয়ার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ঘটনায় প্রাণ গেল চার জনের। সকলেরই ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের কথায়, মৃতদের মধ্যে দু'জন মহিলা। কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় যে এই বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে তাই নাকি জানতেন না স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর।
বেআইনি বাজি কারখানার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে বারবার। ঘিঞ্জি এলাকায় এমন সব কারখানা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও যে খুব একটা লাভ হয়েছে তা নয়। কল্যাণীর ঘটনা তো আরও এক কাঠি ওপরে। কারণ যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই ২০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এতদিন যে এখানে বাজি কারখানা ছিল সেটাই তিনি জানতেন না। তাঁর কথায়, "সবটা জানতে পারলাম এদিন বিস্ফোরণ হওয়ার পর। তবে এটা কোনও কারখানা নয়। একটা বাড়ির মধ্যে চলছিল।"
পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় এই বেআইনি 'কারখানা' এত দিন চলছিল কী করে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। তাঁর প্রশ্ন, "এরকম কিছু ঘটনা ঘটলে, তখন পুলিশ ব্যবস্থা করে। পুলিশ সবটাই জানত। এর থেকেই বোঝা যায় রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিচ্ছু নেই।"
গত কয়েক বছরে বাংলার বহু জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এগরায় ২০২৩ সালে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। সেই নিয়ে যখন চর্চা অব্যাহত, তখনই আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরপরই তালিকায় উঠে আসে দত্তপুকুরের ঘটনা। সেখানে মারা যান ৭ জন। আর এবার কল্যাণী।