শেষ আপডেট: 8th April 2025 19:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৩ সালের ২৬ অগাস্ট নদিয়ার (Nadia) মুরুটিয়া থানা এলাকায় পুলিশ হেফাজতে (Police Custody) শওকত মন্ডলের (Saokat Mondal) রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই- (CBI)এর হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এমনকি এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন একইসঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে (RG kar) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ প্রসঙ্গেও একাধিক কথা উঠে আসে।
মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনার কথা ভেবেই ‘আর্থিক অনিয়ম’ মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। নদিয়ার মুরুটিয়ার শওকত মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনাতেও তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল।
এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন শওকতের স্ত্রী মঞ্জুরা বিবি। পুরনো একটি মাদক মামলায় শওকতের দাদা মোহন মণ্ডল এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে জারি হয়েছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা। যদিও পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে বাড়ি পৌঁছলে মোহন ও তাঁর স্ত্রী পুলিশকে জানান, সেই মামলায় আগেই তাঁরা জামিন পেয়েছেন।
অভিযোগ, এই কথা শোনার পর পুলিশ ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। আর তা না দেওয়ায় মোহনের ভাই শওকত মণ্ডলকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ তাঁরই স্ত্রী মঞ্জুরার। এদিকে ওই দিনেই ভোরবেলা স্থানীয় একটি বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার হয় শওকতের দেহ। সেই সময়ে মঞ্জুরা স্বামীর মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দোষারোপ করে মামলা করেন।
এখানেই শেষ নয়। তারপর পুলিশ ওই মহিলার জা-কেও অন্য একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই মহিলার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলার অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
মঞ্জুরা এরপর তাঁর স্বামীর মৃত্যু মামলাতেও সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, একটি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত করছে, তাহলে এই সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় সিবিআই কেন? এ প্রসঙ্গেই এই মামলায় গত শুনানিতে উঠে আসে আরজি কর মামলা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, আরজি করের খুন ও ধর্ষণ কাণ্ড সিবিআই পাওয়ায় তাদের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন তেমনটা হবে না। এরপরই চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।