শেষ আপডেট: 29th October 2024 19:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: সীমান্ত চরে জমিতে ভারতীয়দের ফলানো ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে বাংলাদেশিরা। এই অভিযোগে মাঠ ও নৌকা বয়কট করলেন ভারতীয় চাষিরা। মুর্শিদাবাদের রানিনগর ও জলঙ্গি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিক্ষোভ দেখালেন তারা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা বামনাবাদ গ্রাম। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ সীমান্তে চাষাবাদ করেন। অনেকে আবার নদীতে মাছ ধরেন জীবিকা নির্বাহ করেন। গ্রামেই রয়েছে বিএসএফের চেকপোস্ট। রোজ পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সীমান্ত চরে যান তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কষ্ট করে তাঁর সীমান্ত চরে ফসল ফলান। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁরা সেখান থেকে চলে এলেই বাংলাদেশিদের তাণ্ডব চলে। ফসলের বেশিরভাগ অংশ নষ্ট করে দেয় বাংলাদেশিদের গরু, ছাগলের পাল। ধীরে ধীরে বাংলাদেশিদের এমন অত্যাচার বেড়েই চলেছে। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, ভোর রাতে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। এতে সমস্যায় পড়েন মৎস্যজীবীরা। কিছু বলে গেলেই হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের।
রানিনগর এবং জলঙ্গি সীমান্তের অধিকাংশ মানুষ চরের জমিতে কলাই, ভুই চম্পা সহ অন্যান্য শস্য চাষাবাদ করেন। সেই জমিতেই দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে বাংলাদেশিদের গরু, ছাগল জমিতে ঢুকে যায়। ফসল পাহারা দেওয়ার কেউ না থাকায় অবাধে তাঁরা সেগুলি নষ্ট করে দেয়। পাশাপাশি ভারতীয় কৃষকদের জমির ফসল কেটে নিয়ে যায়। ফলে লোকসান হয় ভারতীয় চাষিদের।
মঙ্গলবার সকালে একজোট হন ভারতীয় চাষিরা। তাঁদের দাবি, "আমরা চাই বিএসএফ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা দিনের বেলায় জিরো পয়েন্টে ডিউটি করুক। তাহলে আমরা ফসলের নিরাপত্তা পাব। পাশাপাশি এন্ট্রির করে চরে নামার ঝামেলা থাকবে না।"
ঘটনাস্থলে যান সাবেনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মজিবর রহমান বিশ্বাস। তিনি বলেন,'বাংলাদেশি মানুষ দিনের পর দিন অবাধে ভারতীয় কৃষকদের ফসল লুঠপাট করছে। এটা হতে পারে না। বিএসএফ জিরো পয়েন্টে নজরদারি করলে এটা বন্ধ হবে।"