নিজস্ব ছবি
শেষ আপডেট: 20th March 2025 20:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে। এরই মধ্যে বস্তাভর্তি ভুয়ো ভোটার কার্ড উদ্ধার ঘিরে নদীয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ, শান্তিপুর থানার কৃষ্ণকালীতলায়। সূত্রের খবর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিসর্জন ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি ভোটার কার্ড। যাকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীদের দাবি, আদালতের নির্দেশের পরই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোটার কার্ডগুলি ফেলে রেখে গেছে। আজ রাস্তার পাশে ওই বস্তাটি পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। তার চারপাশে আবর্জনার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভোটার কার্ডও তাদের নজরে আসে। তারপরে ওই বস্তা খুললে বেরিয়ে আসে কয়েক গোছা ভোটার কার্ড।
খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তারপর পড়ে থাকা এবং বস্তাবন্দি ভোটার কার্ডগুলি সংগ্রহ করে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পথচারী কিংবা স্থানীয় বাসিন্দা সকলেই অন্ধকারে। কে বা কারা এই কার্ডগুলি ফেলে গেছে, কেউ কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। বস্তাভর্তি যে ভোটার কার্ডগুলো উদ্ধার হয়েছে তার ঠিকানার জায়গায় লেখা রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি ও নদীয়ার বেশ কিছু জায়গার নাম। সব মিলিয়ে ভোটার কার্ড উদ্ধার হওয়ার পর নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সোমনাথ কর জানান, যখন আদালত নির্দেশিকা জারি করেছে সমস্ত ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করাতে হবে তখনই শাসকদলের দুষ্কৃতীদের মনে ভয় ঢুকেছে। আর এর ফলেই তারা বেআইনি কার্ডগুলি ফেলে রেখে গিয়েছে। এগুলি মূলত বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হত। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
যদিও বিজেপির পাল্টা আক্রমণ করেছে শাসক দল তৃণমূল। স্থানীয় কাউন্সিলর শ্যাম সাহা বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা ভুয়ো ভোটার ধরার কর্মসূচি চালাচ্ছি। সেই পরিস্থিতিতে বিজেপি চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটাতে পারে। যে ভোটার কার্ডগুলি উদ্ধার হয়েছে তার তদন্তের দায়িত্ব রয়েছে প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের উপর। নিশ্চয়ই তারা তদন্ত করবে। তবে এই ঘটনায় শাসক দল কোনভাবে যুক্ত নয়।‘