হাজি একে খান কলেজ
শেষ আপডেট: 5th November 2024 19:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: এবার কলেজেও 'থ্রেট কালচার'। স্য়ারকে সঙ্গ দিলেই পরীক্ষায় ভাল নম্বরের টোপ! এমন অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া হাজি একে খান কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুজোর ছুটির পরেই মঙ্গলবার কলেজ খুলেছে। কলেজে এসে বেশ কয়েকজন ছাত্রী কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ আনলেন। কলেজ অধ্যক্ষকে তাঁরা একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
হরিহরপাড়ার হাজি একে খান কলেজ জেলায় ন্যাক গ্রেডে প্রথম হয়েছিল। সেই কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এডুকেশন বিভাগের শিক্ষক। নাম মিঠুন শেখ।
এক ছাত্রীর অভিযোগ, কলেজে তখন ক্লাস চলছিল। ক্লাস নিচ্ছিলেন মিঠুন শেখ। ওই ছাত্রী পিছনের বেঞ্চে এক সহপাঠীর সঙ্গে বসেছিল। ক্লাস চলার সময়ে ওই ছাত্রীর সহপাঠীর গায়ের বাজেভাবে হাত দেন প্রফেসর মিঠুন শেখ। ওই পড়ুয়া সরে গেলে 'ফল ভুগতে হবে' বলে হুমকি দেন স্যার।
কলেজের আরও এক পড়ুয়ার কথায়, "ক্লাসে স্যারের কোনও ছাত্রীকে পছন্দ হলে, সঙ্গ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বদলে প্র্যাক্টিকেলে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।"
পড়ুয়াদের দাবি, কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন ওই স্যার। কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা বললে তাঁদের "ফেল" করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ওই স্যার। অভিযুক্ত এইভাবেই ছাত্রীদের ভয়ে দেখিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে দিতেন। কিন্তু দিনের পর দিন অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের ঔদ্ধত্য বেড়ে যাচ্ছিল। তাই কলেজ খুলতেই কর্তৃপক্ষকে স্যারের 'কীর্তি'র নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগ পাওয়ার পর কলেজের অধ্যক্ষ ডা. গৌতম কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন পড়ুয়া লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনাটি জিবি কমিটিকে জানানো হয়েছে। তাঁর এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযোগ প্রমাণ হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরণের আচরণ কখনই বরদাস্ত করা হবে না।