শেষ আপডেট: 22nd September 2024 13:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গেছিলেন। দুজনকেই বাধা দিয়েছিলেন। ফলে খুন হতে হয়েছিল তাঁকে। ন'বছর পরে রায় বেরোল। মেয়ে ও স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনালো রানাঘাট আদালত। মা ও মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক সৌমেন গুপ্ত।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ফুলিয়া মাঠপাড়া এলাকায় সমর বসাক নামে এক ব্যক্তিকে তাঁর বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই মৃতের ভাই মঙ্গল বসাক শান্তিপুর থানায় বৌদি ও ভাইঝির বিরুদ্ধে খুনে অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়।
মঙ্গল বসাকের দাবি ছিল, সমর গুরুতর অসুস্থ, এই খবর পেয়েই দাদার বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন বিছানায় পড়ে রয়েছেন সমর। মাথা থেকে গলগল করে রক্ত বেরচ্ছে। গলায় ফাঁসের দাগ। ঘরের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন সমর বসাকের স্ত্রী ও মেয়ে। এতেও তাদের মধ্যে কোনও তাপউত্তাপ ছিল না। দাদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলে মঙ্গল। সেখানে দাদার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হতেই শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মঙ্গল।
পুলিশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল সমরের। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। মামলায় ১৩জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। সাক্ষীদের সকলের দাবি, দুই অভিযুক্তের বহু পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সেসব কথা জানতে পেরে গেছিলেন সমর। মেয়ে ও স্ত্রীকে বাধা দেওয়াতেই তাঁকে খুন হতে হয়।