শেষ আপডেট: 13th September 2024 11:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নবান্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে এই মুহূর্তে তীব্র স্নায়ুর লড়াই চলছে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা শুধু একটা কারণেই ভেস্তে যায়। তা হল, জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করাতে চান। সরকারের তাতে ঘোর আপত্তি রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল, এই অচলাবস্থার শেষ কোথায়? নবান্নের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার দরজা কি বন্ধ হয়ে গেল? তাহলে কি জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরাতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবে নবান্ন?
প্রশাসনের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কোনওভাবে কোনও রফাসূত্র বের করা না গেলে সুপ্রিম কোর্টের মুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হবে। তবে সরকারও চায় মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই তাঁদের কাজে ফেরাতে।
নবান্নের এক আমলার কথায়, বিপুল সমর্থন নিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। তার পরেও ঘরোয়া সমস্যা মেটাতে সরকার যদি সুপ্রিম কোর্টের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তাহলে তা সরকার তথা শাসক দলের জন্য অস্বস্তিকর। তাই সরকারও চায়, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগেই ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানের রাস্তা বের করতে।
সূত্রের মতে, জুনিয়র ডাক্তারদেরও অনেকে আলোচনার পক্ষে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ১০ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তা তাঁরা করেননি। বরং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁরা কাজে যোগ না দিলে সর্বোচ্চ আদালত ব্যাপারটা ভাল ভাবে নাও নিতে পারে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ফের কোনও পর্যবেক্ষণ বা নির্দেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে ডাক্তারদের সঙ্গে ট্র্যাক-টু আলোচনা শুরু হয়েছে। চেষ্টা হচ্ছে, নবান্নে আলোচনার টেবিলে তাঁদের নিয়ে আসার। ডাক্তারদের মধ্যেও একটা বড় অংশ এবার নিষ্পত্তি চাইছেন। সবমিলিয়ে শুক্রবার বা শনিবারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য দুই শিবিরেরই আগ্রহ রয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে তা কবে হয় এখন সেটাই দেখার।