শেষ আপডেট: 27th August 2024 17:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছাত্র সমাজের মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান নিয়ে বড় অভিযোগ আনলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে চন্দ্রিমা বলেন, "সবাই বুঝতে পারছেন ছাত্র সমাজের নামে এদিন বিজেপি নতুন করে বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। পুলিশ আক্রান্ত হলেও ধৈর্য্যচ্যুত হয়নি।"
এরপরই চন্দ্রিমার দাবি, "ওদের অবশ্য একটা চাহিদা ছিল, জীবন্ত লাশ! একটা বডি চাই, কিন্তু সেটা হল না। কারণ পুলিশ ওদের প্ররোচনায় পা দেয়নি। তাহলে কী করতে হবে? আরেকটা অরাজকতা। সেজন্যই আগামীকাল বিজেপি বনধ ডেকেছে।"
এরপরই বনধ ব্যর্থ করার আহ্বান জানিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, বাংলায় বনদের রাজনীতি চলে না। ২০১১ সালের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলায় আর বনধ হয় না।
আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের প্রতিবাদে দোষীদের কঠোরত শাস্তি ও মুুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে এদিন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে নবান্ন অবিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলায় নতুন করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। ওই প্রসঙ্গ টেনে চন্দ্রিমা বলেন, "কিছু বলার থাকলে সিবিআইয়ের কাচে যান। আসলে, কিছু বলার তো নেই. তাই বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা।"
বনধকে ঘিরে রেলের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন চন্দ্রিমা। রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, "রেল কর্তৃপক্ষকেবলছি কালকে রেল বন্ধ করবেন না। কারণ, বাংলায় বনধ হয় না।"
একই সঙ্গে চন্দ্রিমা এও জানান, "আজকে দেখলাম জাতীয় পতাকা নিয়ে কী করা হলো। জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে কোর্টে যাব।" কটাক্ষের সুরে যোগ করেছেন, "আজকে যে শো হয়েছে সেটা তো ফ্লপ শো! যতটা গর্জাল, ততটা বর্ষাল না।"
ব্রাত্য বসু বলেন, "বিজেপির মুখোশ খুলে গেছে। মিছিলে যারা উপস্থিত ছিল তারা ছাত্র নামধারী হুলিগান। গোটা ভারতবর্ষ যেখানে বিচার চাইছে, সেখানে ওরা বিচার না চেয়ে লাশ চেয়েছে। পুলিশ মাথা ঠান্ডা রেখে এই হঠকারি আন্দোলনকে রুখেছে। আমরা ভেবেছিলাম যে একটা মিছিল সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে যাবে সিবিআইয়ের কাছে বিচার চাইতে। তা কিন্তু হল না।"