শেষ আপডেট: 21st February 2024 20:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার আসানসোলের হোটেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পর বুধবার সেই মৃতদেহ নিয়ে চলে বিক্ষোভ। সঠিক বিচারের দাবিতে কুলটি থানার নিয়ামতপুরে জিটি রোড অবরোধ করেন যুবকের পরিবার, প্রতিবেশী সহ এলাকার বাসিন্দারা।
বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে আসানসোল বরাকরে জিটি রোডের নিয়ামতপুর চৌমাথা মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুলটি থানা ও নিয়ামতপুর ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এদিন ময়নাতদন্তের পর রোহন প্রসাদ নামে ২১ বছরের ওই যুবকের দেহ বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে তাঁর বাড়ির সামনে রাস্তায় দেহ রেখে শুরু হয় অবরোধ। পরিবারের দাবি, যুবকের সঙ্গে হোটেলে এক তরুণীও ছিল। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ। তরুণীকে এখনও পর্যন্ত কেন পুলিশ গ্রেফতার করেনি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
এদিকে পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু অবরোধ তুলে নিতে পুলিশের অনুরোধ সত্ত্বেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। সন্ধে সাতটা নাগাদ পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এরপর ফের গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস এদিন বিকেলে বলেন, মৃত যুবক রোহন প্রসাদ রামের পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এদিন ওই হোটেলে ফরেনসিক টিমের সদস্যরা যান। সেখান থেকে যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে জেরাও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের কুমারপুরে মনোজ সিনেমা হল সংলগ্ন একটি হোটেলের রুম থেকে থেকে রোহনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিয়ামতপুর চক্রবর্তী পাড়ার বাসিন্দা প্রথম বর্ষের কলেজ পড়ুয়া রোহনের কপালের ঠিক মাঝখানে একটা ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। বুধবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়। তাতে একটি রিভলভারের গুলি যুবকের মাথার পেছন থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেই গুলি পুলিশ জেলা হাসপাতালের মর্গ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে। মঙ্গলবার মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় যুবকের কাছ থেকে একটি রিভলভারও পায় পুলিশ।