শেষ আপডেট: 12th April 2025 14:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ (সংশোধিত) আইন বাতিলের (Waqf Bill) দাবিতে শুক্রবার দুপুর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) জঙ্গিপুর এলাকা।পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি চলে। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো, সাধারণ যানবাহন ও বাইক ভাঙচুরের পাশাপাশি হামলাকারীদের নিশানা থেকে রক্ষা পায়নি রেলের সম্পত্তিও। ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবাও।
পূর্ব রেলের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে ৪৩ নম্বর রেলগেটে শুক্রবার যথেচ্ছ ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে হামলাকারীরা। ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছে রেল গেট। হামলাকারীদের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি রেলের রিলে রুম, কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার। অন্যান্য সম্পত্তিতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে হামলাকারীরা।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, কোন ট্রেন আগে যাবে, কোনটি পরে যাবে সিগন্যাল সংক্রান্ত এই সব নির্দেশের কাজ হয় রিলে রুম থেকে। আক্রমণকারীরা সেটি ভেঙে ফেলায় সংশ্লিষ্ট রুটে ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। যার জেরে স্টেশনে স্টেশনে আটকে পড়েছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী। পরে রেলের তরফে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় শুক্রবার গভীর রাতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফ জওয়ানদেরও। তার মধ্যেও শনিবার সকালে ধুলিয়ানা শহরে নতুন করে হামলা করে আক্রমণকারীরা। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করে পুলিশ ও বিএসএফ। মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে কড়া বার্তা শুনিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
তবে হামলার ধরন দেখে রেল ও রাজ্য পুলিশের একাংশ কর্তার অনুমান, পরিকল্পিত হামলা। পরিকল্পিতভাবেই সরকারি সম্পত্তি লুট করা হয়েছে। রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে হামলার ঘটনায় পুলিশ মোট ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।