দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় কয়েক সপ্তাহ আগেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর থেকে শুরু করে পুলিশের ওপর হামলা, সাধারণের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর, খুন সবই হয়েছে জেলায়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। তবে ফের জেলায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। কারণ ফের জেলা থেকে অস্ত্র উদ্ধার (Weapon) হয়েছে। 

শুক্রবার জলঙ্গির সাহেবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে, ৪টি অত্যাধুনিক চিনা পিস্তল, ৮ রাউন্ড ম্যাগাজিন এবং ৩০ রাউন্ড কার্তুজ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের নাম জয়প্রকাশ মণ্ডল এবং সুরজ মণ্ডল। এরা দু’জনেই মালদহের বাসিন্দা। অনুমান করা হচ্ছে, এই অস্ত্র পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এবার তা শুধু মুর্শিদাবাদের জন্য নাকি রাজ্যের অন্য কোথাও অশান্তি ছড়ানোর জন্য, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল, অভিযুক্ত দু'জন বাসে করে জলঙ্গি আসছে। সেই মতো সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যায় মুর্শিদাবাদ পুলিশের একটি দল। বাসটি পৌঁছতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বাসে। তারপরই বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অভিযুক্তদের হাতেনাতে পাকড়াও করে তাঁরা। জেরায় অভিযুক্তরা বলেছে, তারা বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার করতে চেয়েছিল। তবে এই বক্তব্য কতটা সত্যি বা মিথ্যে তা যাচাই করছে পুলিশ। 

রাজ্যে অশান্তির ছক হোক কিংবা বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার, এই অস্ত্র এদের হাতে এল কী করে সেটাই এখন একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ধরা পড়েছে জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে। জেএমবি জঙ্গি যোগেরও হদিশ মিলেছে বঙ্গে। তার ওপর এমনিতেই রাজ্যের কোনও না কোনও প্রান্ত থেকে গুলি বা বোমা ফাটার খবর আসে। তাই এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ফের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করল।