ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 4 May 2025 21:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির ঘটনায় (Murshidabad Incident) বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (President's Rule) করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ( Governor CV Ananda Bose)। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
এরই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে 'দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার' অভিযোগ এনে নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice), কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখেছেন মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবার। রবিবার বিকেলে সেই চিঠি টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন।
টুইটে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, "মুর্শিদাবাদের ঘটনায় প্রমাণিত রাজ্য নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা দিতে ব্যর্থ। নিহতের পরিবার সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখ্যান করেছিল, তার বদলা হিসেবে পুলিশ গেস্ট হাউসের দরজা ভেঙে জোর করে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর থেকেই স্পষ্ট বাংলায় কীসের রাজ চলছে।"
The tragic deaths of Late Haragobinda Das and Late Chandan Das in Jafarabad, Samsherganj, Murshidabad, are a heartbreaking reminder of the fragile safety of our Sanatani community in WB.
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) May 4, 2025
The WB Government, under Mamata Banerjee, must be held accountable for failing to ensure the… pic.twitter.com/YwRNI7hnD9
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠিতে কী লিখেছেন নিহতের পরিবার? মৃত হরগোবিন্দ দাসের স্ত্রী পারুল দাস ও চন্দন দাসের স্ত্রী পিঙ্কি দাস বিধাননগরের পূর্ব থানার আই সি-সহ একাধিক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার বিধাননগর পুলিশ গেস্ট হাইসের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্যই পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে।
যদিও পুলিশের দাবি, অপহরণের লিখিত অভিযোগ আগেই দায়ের হয়েছিল। সেই তদন্তেই তাঁরা গিয়েছিলেন। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, মুর্শিদাবাদের হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের স্ত্রীদের আগেই অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাই সুরক্ষার জন্য তাঁদের সল্টলেকে এনে রাখা হয়েছে। বিজেপি এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিহিংসা এবং কুৎসার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপালের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আপাত শান্ত মুর্শিদাবাদে নতুন করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতেই উদ্দেশ্যপ্রণদিতভাবে মিথ্যে কুৎসা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতার পরিবারের ওই চিঠি হাতে পাওয়ার পরই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল বোস। একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এখন দেখার এ ব্যাপারে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ করে।