শেষ আপডেট: 13 October 2022 10:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya) জমানায় শিল্পায়ন ও উদারিকরণের মাইলফলক হয়ে রয়েছে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের পাশে মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি (Metro Cash and Carry)। বামফ্রন্টের শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি-র বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর ভেটো ব্যবহার করে জার্মান বিপণন সংস্থা মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারিকে এপিএমসি লাইসেন্স দিয়েছিলেন বুদ্ধদেববাবু।
১২ বছর পর এ বার সম্ভবত হাত বদলের পথে মেট্রো। মেট্রোর পাইকারি ব্যবসা অধিগ্রহণের ব্যাপারে ওই জার্মান সংস্থার সঙ্গে আলোচনা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) রিলায়েন্স (Reliance) ইন্ডাস্ট্রিজের। কলকাতা, গুজরাত, বেঙ্গালুরু সহ গোটা দেশে মেট্রোর ৩১টি আউটলেট রয়েছে। ভারতে এখন রিলায়েন্স গোষ্ঠীই রিটেল ব্যবসায় সবার উপরে রয়েছে। মেট্রো অধিগ্রহণের ফলে পাইকারি ব্যবসাতেও দেশে তারা অধিপতি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওদিকে রিলায়েন্সের জিও-মার্টও আগ্রাসী হয়েই শাখা প্রশাখা ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে।
বলে রাখা ভাল, রিলায়েন্স নিয়েও বামেদের ছুঁতমার্গ অনেক আগেই চলে গিয়েছে। কেন্দ্রে প্রথম ইউপিএ জমানায় বামেরা যখন সমর্থক দল ও চালিকাশক্তি ছিল, তখন থেকেই দেশের এই শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে দূরত্ব ঘুচে যায়। সে সময়ে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রকাশ কারাট। তার পর দিল্লিতে এক পড়ন্ত বিকেলে এক প্রকার নিঃশব্দে এ কে গোপালন ভবনে এসে প্রকাশ কারাটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন মুকেশ আম্বানি।
কেরলের ‘নরখাদক’ কবিতাও লিখত ফেসবুকে! নৃশংসতার হিসেব মেলাতে পারছেন না তদন্তকারীরা
সূত্রের মতে, ভারতে মেট্রোর ব্যবসার সামগ্রিক মূল্য দাঁড়াতে পারে ১ বা ১.২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তবে জানা গিয়েছে, চূড়ান্ত মূল্যায়নের প্রক্রিয়া চলছে।
২০০৩ সালে ভারতে ব্যবসা শুরু করেছিল মেট্রো। অর্থাৎ সেই প্রথম পাইকারি ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি এসেছিল। কলকাতায় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি পাইকারি ও খুচরো—বলতে গেলে দুই ব্যবসাই করে। কলকাতার মেট্রো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়ও বটে। শিল্পমহলের একটি সূত্রের দাবি, রিলায়েন্সের আগে আমাজনের সঙ্গেও মেট্রোর একপ্রস্থ কথাবার্তা হয়েছিল। তবে এখন অধিগ্রহণের দৌড়ে একা টিকে রয়েছে রিলায়েন্স।