শেষ আপডেট: 4th January 2025 16:42
পৌষ সংক্রান্তির আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। পিঠে পার্বণে নলেন গুঁড়ের পায়েস, পিঠে, পাটিসাপ্টার গন্ধে ম ম করবে চারিদিক। স্টিমার তো আছে, তবে এই পিঠের স্বাদই আলাদা হয়ে যায় যদি তা মাটির সরাতে তৈরি হয়। তাই পিঠে তৈরিতে মাটির সরা ব্যবহার এখনও অচল হয়নি। কুমোর পাড়ায় তাই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে।
শিলিগুড়ি চরণপাড়া পালপাড়ার বাসিন্দা শ্যাম পাল। পেশায় তিনি মৃৎশিল্পী। মাটির জিনিস তৈরি করেই রুজি রোজগার তাঁর। পরিবারের সদস্যরাও তাঁকে সাহায্য করেন। বাজারে এখন মাটির সরার জোগান দিতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন, শুধু শিলিগুড়ি নয়, জেলার বাইরে থেকেও তাঁর কাছে সরার বায়না এসেছে। একই সঙ্গে, অন্যান্য মৃৎশিল্পীদের উঠোনে এখন থরে থরে শুকোচ্ছে মাটির সরা, ছোট কড়াই, থালা। আগের মতো মাটির সরাতে পিঠে তৈরির রমরমা না থাকলেও এখনও বহু মানুষ এই পিঠে খেতেই ভালবাসেন।
এমনই এক মৃৎশিল্পী শেফালী পাল বলছেন, একসময়ে মাটির সরার রমরমা বাজার ছিল। এখন বাড়িতে পিঠে-পুলি তৈরির ঝক্কি কেউ নিতে চান না। তাই মাটির সরার অর্ডারও কম আসছে। কিন্তু আগের থেকে মাটির সরার অর্ডার কমে গেলেও পিঠের চাহিদা যে কম গেছে এমনটাও নয়।