শেষ আপডেট: 15th August 2024 19:46
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: আরজি করে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আন্দোলনকারী প্রতি নৈতিক সমর্থন জানিয়ে বুধবার বেহালার প্রাক স্বাধীনতা অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, "সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা দিচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু তিন জন বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। পায়ে ধরে বলছি এবার বাকিরাও কাজে যোগ দিন।"
ছাত্রী খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদেরও কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতের ওই নির্দেশ মনে করিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বললেন, "আন্দোলনেরও একটা সীমা থাকা উচিত। সেটা নজরে রাখতে হয়। আমি আন্দোলন করেই বড় হয়েছি। আদালত কিন্তু কাজে যোগ দিতে বলেছে!"
মনে করিয়েছেন, পুলিশ, হাসপাতাল এগুলি জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে। পেশায় প্রবেশের সময় সেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন প্রত্যেক চিকিৎসক।
বুধবার মধ্যরাতে আরজিকরে ভাঙচুর ও আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এদিন ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মমতা এও বলেন, " ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল। আমি ওদের সমর্থন করি। ওদের উপর আমার কোনও রাগ নেই। কিন্তু আমার রাগ হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো এর মধ্যে ঢুকে ঘোলা জলে মাছ ধরছে।" একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তিকর ব্যবস্থা করবেন তিনি। কারণ, এই ধরনের অপরাধ একটা সামাজিক ব্যাধি। এরা সমাজের শত্রু।
শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার। আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় টানা কর্মবিরতিতে নেমেছে ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা। যার জেরে কলকাতা-সহ রাজ্যুজড়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত চরম সঙ্কটের মুখে।
এই অবস্থায় তাঁদের আন্দোলনকে ন্যায্য দাবি করেও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য মঙ্গলবারই আর্জি জানিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কথা বলেন। এদিন ওই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি এবং স্বাস্থ্যসচিব বারে বারে অনুরোধ করছি। গরিব মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে। তাঁদের কথা ভেবে কাজে যোগ দেওয়া উচিত।"
বস্তুত, ডাক্তারি পড়ুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার কর্মবিরতির জেরে কলকাতা থেকে জেলা রীতিমতো দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন রোগী ও তাঁর পরিজনরা। যদিও বুধবার মধ্যরাতের হামলার পর থেকে আরও নতুন ঝাঁঝে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, "পুলিশের সামনেই তো হামলা হল! পুলিশ বাঁচানোর পরিবর্তে পালাল! তাহলে কোথায় সিকিউরিটি?"