শেষ আপডেট: 14 December 2023 13:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: ছেলেকে নানির বাড়ি পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত ছিলেন রীনাদেবী। ভেবেছিলেন রাতের মধ্যে ছেলে বাড়ি ফিরবে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছেলের দেহ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মৃত ক্রান্তি বাহাদুরের (১৪) মা রীনা। বললেন, “বিকেল থেকে ছেলের অপেক্ষায় ছিলাম। ওরা তিন বন্ধু পাণ্ডুয়ায় গিয়েছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার ট্রেন পায়নি। পরশু রাতে ট্রেন না পেয়ে সকালে জয়নগর এক্সপ্রেসের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। তখনই মাথায় ভেঙে পড়ে জলের ট্যাঙ্ক।”
তার এক আত্মীয় সঙ্গে ছিল। তার মোবাইল ফোন জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশের মারফত খবর যায় সাহেবগঞ্জে। সেখানকার রেল পুলিশ বাড়িতে খবর দেয়। মৃত ক্রান্তি বাহাদুরের মা রীনাদেবী জানান, স্বামী নেই তাঁর। ছেলেই ছিল ভরসা। সে পড়াশোনা করত। সেই ছেলেকে হারিয়ে এখন সব শেষ হয়ে গেছে তাঁর। মৃতের মাসি চম্পাদেবী জানান, একটায় ট্রেন আসার কথা ছিল। তার আগেই এই চরম সর্বনাশ ঘটে গেল।
বুধবার দুপুরে বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা জলের ট্যাঙ্কটি হঠাৎই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থাকা শেডের উপর। তখন বহু যাত্রী ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন ভর্তি রয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।