শেষ আপডেট: 12th May 2019 19:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: না খেতে পেয়ে মারা গেল প্রায় ৩০০ চমরি গাই! সিকিমের এই ঘটনায় জেলা শাসক শ্রী রাজ যাদব জানিয়েছেন, উত্তর সিকিমে লাগাতার বেশ কয়েক দিন ধরে বরফ পড়ার কারণেই তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। পাহাড়ের বুকে চরে খেতে অভ্যস্ত ওই নিরীহ প্রাণীরা না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছে একে একে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সমস্যা আজকের নয়। বেশ কয়েক মাস ধরেই মুকুথাংয়ের একটা অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে পড়েছিল ওই চমরিগাইয়ের দল। ভারী তুষারপাতের কারণে অন্য কোথাও চলে যেতে পারেনি তারা। ফলে ওই এলাকায় খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় অনাহারেই তাদের প্রাণ হারাতে হল। মাঝখানে রাজ্য প্রশাসনের তরফে হেলিকপ্টারে করে খাবার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
মৃত ইয়াকগুলি ছাড়া বাকি আরও যে ইয়াকের দল মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে, তাদের শুশ্রূষা করতে ইতিমধ্যেই অ্যানিম্যাল হাজবান্ডারি দফতরের একটি মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। মুকুথাংয়ে ইয়াকদের ১৫টি পরিবার এবং ইয়ুমথাংয়ে আরও ১০টি ইয়াক পরিবার এই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে জেলা শাসকের তরফে।
রাজ যাদব জানান, শুক্রবার সিকিমে ওই ইয়াকগুলির দেহ খুঁজে পান তারা। "পাঁচ দিন আগে ওই এলাকায় যাওয়ার সরু রাস্তাগুলো পরিষ্কার করা হয় সরকারের তরফে। পরে আমাদের একটি দল সেখানে গিয়ে দেখে এই অবস্থা হয়েছে ইয়াকগুলির।"-- বলেন যাদব। যদিও প্রতি বছরই ১০ থেকে ১৫টি ইয়াক মারা যায় নানা কারণে, তবে এ বছর সংখ্যাটি রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
যাদব বলেন, "এখনও ওই এলাকায় আটকে থাকা ৫০টি চমরি গাই উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে।" প্রতিটি মৃত ইয়াকের জন্য ইয়াক মালিককে ৩০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। একটি পরিবারে সর্বোচ্চ তিনটি ইয়াকের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
হাজার হাজার বছর ধরে ওই এলাকায় বাস করছে অসংখ্য চমরি গাই। দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণ ছাড়াও মালপত্র বহনের কাজে ব্যবহার করা হয় তাদের।