শেষ আপডেট: 10th March 2025 12:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: '২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন যখন আসবে আসবে করছে, ঠিক সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে চালু হয়েছিল 'মা ক্যান্টিন' (Maa Canteen) যেখানে দুপুরবেলায় মাত্র ৫ টাকায় ভাত, ডাল ও ডিমের ঝোল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এহেন ক্যান্টিন জনপ্রিয় হতে সময় লাগেনি। এখনও সে ধারা অব্যাহত। একথা বলার কারণ বিধানসভায় আজকে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দেওয়া পরিসংখ্যান।
সোমবার মেয়র জানিয়েছেন, "৩৩টি জেলা হাসপাতালে মা ক্যান্টিন চলছে। যার জন্য প্রায় ১২৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে রাজ্যের। ২১.৩৯ লক্ষ মানুষ প্রতি মাসে ডিম ভাত খান মা ক্যান্টিং থেকে। প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ এখনও পর্যন্ত এই ক্যান্টিনে খাওয়াদাওয়া করেছেন।"
এখানে বলে রাখা দরকার, প্রথমে মাত্র ৩২টি ক্যান্টিন নিয়ে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ২১২টি। বর্তমানে রাজ্যে 'মা ক্যান্টিন'-এর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যেখানে একেবারে নামমাত্র খরচে দুপুরের খাবার খেতে পারেন মানুষ। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়েই চালানো হচ্ছে এই প্রকল্প।
তবে মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত এই ক্যান্টিন নিয়ে কম কাদা ছোড়াছুড়ি হয়নি। জগদীপ ধনকড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্যান্টিনের খরচ নিয়ে। তর্ক-পাল্টা তর্কে জড়িয়েছিলেন শাসক-বিরোধীরা। যদিও এযাবৎ প্রকল্পের খরচ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি শাসকবিরোধীরা।
কিন্তু কলকাতা পুরসভার একটা চিন্তা আছেই। যতদিন যাচ্ছে তত ভিড়ও বেড়ে চলেছে এই প্রকল্পে। অফিসযাত্রীরাও সেখানে এসে খেয়ে নিচ্ছেন। কাজেই খরচের বহরও বেড়ে গিয়েছে। আর তার জেরেই হিমশিম দশা। তাছাড়া শাক-সবজি, ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়াও একটা ঘটনা।
পুরকর্তারা অবশ্য অনেকেই সন্দেহ করছেন, মা ক্যান্টিনের হিসাবে 'জল' থাকতে পারে। যে কারণে কত প্লেট খাবার বিলি হল, সেই সংখ্যাটা পরের দিন বেলা ১২টার মধ্যে কেএমসি পোর্টালে নথিভুক্ত করার নির্দেশ রয়েছে পুরসভার।