শেষ আপডেট: 22nd October 2024 18:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাসপাতালের সুরক্ষায় আগেই গ্রিভান্স সেল গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের দাবি মতো রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুরক্ষায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে এ ব্যাপারে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। ১১ জনের কমিটিতে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী মুখোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার। কমিটিতে রাখা হয়েছে ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, ২ জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, রাজ্যস্তরের গ্রিভান্স সেলের এক প্রতিনিধি এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে এক ছাত্রী।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে ডাক্তারি ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে ৯ অগস্ট থেকে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দাবি পূরণে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে অনশনে বসেন তাঁরা। জট কাটাতে সোমবার আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘ ১২৮ মিনিটের বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাক্স ফোর্স গঠন করা হবে। বস্তুত, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্যে এটি একটি অন্যতম দাবি ছিল।
বস্তুত মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সোমবার সন্ধেতেই অনশন প্রত্যাহারের কথা্ জানান আন্দোলনকারীরা। তারপরই টাস্ক ফোর্স গঠনের জন্য এদিন দুপুরে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।
সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'আমরা তো চায় না একজনও ছাত্র বা ছাত্রীর ওপর ব়্যাগিং হোক। এই যে যাদবপুরের ছেলেটা তো ব়্যাগিংয়ের জন্য মারা গেল। আমরা ছোট থেকেই একটা সিস্টেমের কথা শুনে এসেছি, সিনিয়ররা নাকি জুনিয়রদের ব়্যাগিং করে। সব জায়গায় হয়তো নয়, কিন্তু কিছু জায়গায় এখনও আছে। আমাদের মধ্যে অনেকের মানসিকতা এখনও বদলায়নি, এগুলো বদলাতে হবে।'
অভিযোগ জানানোর জন্য প্রতিটি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে এবার থেকে একটি 'ওপেন ডেস্ক' চালু করার কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এও বলেন, "অলরেডি গ্রিভান্স সেল রয়েছে। মাসে একটা করে রিভিউ মিটিং করতে হবে। সকলকে থ্রেট কালচার মুক্ত করতে হবে। কেউ কাউকে যেন থ্রেট না করে।"