শেষ আপডেট: 29th January 2025 19:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে জিবি সিনড্রোম ভাইরাসের প্রকোপ। যা নিয়ে এবারে নড়েচড়ে বসল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। বারাসতের দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয় এই রোগের উপসর্গে। তারপরেই খবর আসে গুড়াপের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল কলকাতার হাসপাতালে। তিনিও এই রোগের উপসর্গেই ভুগছিলেন। সূত্রের খবর সম্প্রতি এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আমডাঙার বাসিন্দা এক কিশোরেরও।
গুড়াপের বাসিন্দা সতীনাথ লোহার(৪৮) নামে ওই প্রৌঢ়ের উপসর্গ দেখে গুলেন বারি হতে পারে সন্দেহ ছিল চিকিৎসক শুভ্র ভট্টাচার্যের। তার প্রেসকিপশনে তিনি লিখেওছিলেন সে কথা। চিকিৎসক বলেন, "যখন অসুস্থ অবস্থায় সতীনাথবাবুকে নিয়ে আসা হয় তখন দেখি তাঁর হাত, পা অসার। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন এক সপ্তাহ আগে ডাইরিয়া হয়েছিল। তখন নিজেরা ওষুধ কিনে খান। ডায়রিয়া ঠিক হয়ে যাবার একদিন পর থেকেই তার হাত পা ঠিকঠাক কাজ করছিল না। তারপরের দিন থেকে অসুস্থতা আরও বাড়তে থাকে। ওনার স্ট্রোক ভেবে ধনিয়াখালি গ্ৰামীন হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। সেখান থেকে কলকাতায় রেফার করা হয় তাঁকে। যাবার পথে আমার কাছে আসেন। রুগীকে দেখে ও পরিবারের লোকেদের কথা শুনে মনে হয়েছে এটা জিবিএস হলেও হতে পারে।"
জানা গিয়েছে, কলকাতায় পাঠানোর সময়েই রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এখান থেকে একটা আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্সে ওই রোগীকে কলকাতায় পাঠানো হয়। মৃতের ভাইপো ধীমান লোহার জানান,তাঁর জেঠু ট্রাক্টর চালাতেন। কয়েক দিন অসুস্থ ছিলেন। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ধনিয়াখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি।
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্ক মৌলি কর অবশ্য জানান,পরীক্ষা না হলে বলা সম্ভব না গুলেন বারি হয়েছিল কিনা। তবে জ্বর শ্বাসকষ্ট হাত পা অসার হয়ে যাওয়ার উপসর্গ ছিল।
সম্প্রতি এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আমডাঙার বাসিন্দা এক কিশোরের। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে জগদ্দলের বাসিন্দা দেবকুমার সাউকে কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ শে জানুয়ারি মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। জি বি সিন্ড্রোম ভাইরাসের সমস্ত উপসর্গই ওই কিশোরের শরীরে ছিল বলে মনে করেছেন সংক্রমক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে মৃত শিশুর পরিবারের বক্তব্য, তাদের এখনও এই সংক্রান্ত রিপোর্ট হাসপাতালের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি।
এই রোগের উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে আমডাঙার টাবাবেরিয়ে গ্রামের বাসিন্দা অরিত্র মণ্ডলের। প্যারীচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ২২ তারিখ সন্ধেবেলা ঘুম থেকে উঠে মাকে গলা ব্যথার কথা জানিয়েছিল সে। পরিবার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ভেবেছিল, ঠান্ডা লেগেছে! কিন্তু রাতেই জ্বর আসে ওই ছাত্রের। ওষুধও খায়। পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর আর দু’হাতে জোর পাচ্ছিল না ।
সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান মা। সেখানে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই পড়ে গিয়েছিল ওই ছাত্র। তখনই চিকিৎসকের পরামর্শে তড়িঘড়ি তাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শুরু হয় চিকিৎসা। অবস্থার অবনতি হলে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে, শরীর তত অচল হতে শুরু করে পড়ুয়ার। খাওয়ার ক্ষমতাটুকুও ছিল না। শুক্রবার তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে শারীরিক পরিস্থিতির। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার।
এই রোগের উপসর্গে পরের পর মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যেও। ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ বাড়ায় স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে ব্যারাকপুর শহরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করা হয়।
সম্প্রতি এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আমডাঙার বাসিন্দা এক কিশোরের। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে জগদ্দলের বাসিন্দা দেবকুমার সাউকে কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ শে জানুয়ারি মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। জি বি সিন্ড্রোম ভাইরাসের সমস্ত উপসর্গই ওই কিশোরের শরীরে ছিল বলে মনে করেছেন সংক্রমক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে মৃত শিশুর পরিবারের বক্তব্য, তাদের এখনও এই সংক্রান্ত রিপোর্ট হাসপাতালের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি।
এই রোগের উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে আমডাঙার টাবাবেরিয়ে গ্রামের বাসিন্দা অরিত্র মণ্ডলের। প্যারীচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ২২ তারিখ সন্ধেবেলা ঘুম থেকে উঠে মাকে গলা ব্যথার কথা জানিয়েছিল সে। পরিবার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ভেবেছিল, ঠান্ডা লেগেছে! কিন্তু রাতেই জ্বর আসে ওই ছাত্রের। ওষুধও খায়। পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর আর দু’হাতে জোর পাচ্ছিল না ।
সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান মা। সেখানে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থাতেই পড়ে গিয়েছিল ওই ছাত্র। তখনই চিকিৎসকের পরামর্শে তড়িঘড়ি তাকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শুরু হয় চিকিৎসা। অবস্থার অবনতি হলে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে, শরীর তত অচল হতে শুরু করে পড়ুয়ার। খাওয়ার ক্ষমতাটুকুও ছিল না। শুক্রবার তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে শারীরিক পরিস্থিতির। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার।
এই রোগের উপসর্গে পরের পর মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যেও। ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ বাড়ায় স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে ব্যারাকপুর শহরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করা হয়।