শেষ আপডেট: 12th November 2024 14:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ট্যাবের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠায় সোমবারই বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই মালদহ থেকে একজনকে এই ইস্যুতে গ্রেফতার করা হয়। সেই গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়ল। উত্তর দিনাজপুর থেকে আরও ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে।
মালদহ জেলার বৈষ্ণবনগর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার উত্তর দিনাজপুরের থেকে চোপড়া এবং ইসলামপুর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পড়ুয়াদের অ্যাকউন্ট হ্যাক করে সরকারি প্রকল্পের টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে।
প্রথমে মালদহ থেকে যাকে গ্রেফতার করা হয় তার নাম হাসেম আলি। ইসলামপুর থেকে ধৃত ব্যক্তি আশারুল হোসেন এবং চোপড়া থেকে ধরা পড়েছেন সাদ্দিক এবং মোবারক হোসেন। পুলিশের অনুমান, শুধু এই কজন নয় আরও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুরোটাই একটা চক্র। তাই তদন্তের গতি আরও বাড়িয়েছে পুলিশ।
রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেই জন্য পুজোর ছুটি পড়ার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে পোর্টালে আপলোড করা হয়। প্রথমে বর্ধমান শহরের সিএমএস হাইস্কুল থেকে অভিযোগ আসে যে একাধিক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। ব্যাঙ্কে গিয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারে তাদের অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ট্যাব নিয়ে রাজ্যে প্রায় ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মূলত ৫টি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের স্কুল শিক্ষা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ছাড়াও স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষাসচিব, প্রাক্তন শিক্ষাসচিব ছিলেন।
এই বৈঠকে পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত ধরতে হবে এবং সঠিক তদন্ত করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে হবে। এর পিছনে সত্যি যদি কোনও চক্র কাজ করে, তাহলে সেই চক্রে কারা জড়িত সেটাও তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আনতে হবে পুলিশকে। ফোর্সকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বৈঠক থেকে।