শেষ আপডেট: 1st November 2023 19:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের জুলাই থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য সহ শিক্ষা দফতরের আরও অনেকে জেলবন্দি। সিবিআই এবং ইডি, যৌথভাবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমন আবহে রাজ্যের একাধিক বিএড কলেজের অনুমোদন নিয়েও বড় প্রশ্ন সামনে আনল বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেই রয়েছে রাজ্যের বেশির ভাগ বিএড কলেজ। সম্প্রতি বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই টাকার বিনিময়ে বিএড কলেজের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এমনকী এনসিটিই (National Council for Teacher Education) গাইডলাইনও মানা হচ্ছে না!
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিএড কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে। তাঁদের অনেকের মতে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সংসদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর আমলেই রাজ্যে গজিয়ে উঠেছিল একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজ।
এনসিটিই এর গাইড লাইনের তোয়াক্কা না করে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়েই সেই সময় অনুমোদন দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। এর ফলে বিএডের প্রশিক্ষণ নিয়েও নতুন করে আরও কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী সমস্যায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে খোঁজখবর শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। শিক্ষামহলের একাংশের মতে, যেভাবে নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে তাতে এক্ষেত্রেও দুর্নীতি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু না হলে শিক্ষায় বিপুল চাকরি বিক্রির তথ্য সামনে আসত না। এক্ষেত্রেও প্রকৃত তদন্ত হলে অনেক বেনিয়মই সামনে আসবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির অধীনে রয়েছে বিএড কলেজগুলি। তাঁরাই যখন বেনিয়মের কথা বলছেন তখন বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত শিক্ষা দফতরের।”
যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা বিজেপির মতো দুর্নীতিকে আড়াল করি না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।” এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি।