শেষ আপডেট: 12th October 2019 07:43
রিসর্টে একান্তে আলোচনা, জেনে নিন কী কথা হল দুই নেতার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: “দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ঘরোয়া বৈঠক ভারত-চিন সহযোগিতায় নতুন যুগের সূচনা করল। ” চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং-এর সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনার দ্বিতীয় দিনে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাণিজ্য থেকে সন্ত্রাস দমন – সব বিষয়েই তাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। ফিশারম্যানস কেভ নামে সমুদ্রের ধারে একটি বিলাসবহুল রিসর্টে একান্তে কথা বলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শুধুমাত্র দু’জন দোভাষী। যদিও একই সময়ে আলাদা ভাবে কথা হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যেও। ঘরোয়া বৈঠকের পরে দুই দেশের পক্ষ থেকে পৃথক ভাবে কী বিবৃতি দেওয়া হবে তারও খসড়া তৈরি হচ্ছে। সকালের বৈঠকের পরে শি-র সঙ্গে আলাদা ভাবে মধ্যাহ্নভোজেরও কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। তখনও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশসচিব বিজয় গোখেল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠককে ‘খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, মোদীর সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে চান বলে শি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে দুই দেশের সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও কথা হয়েছে। চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বিপুল ঘাটতি রয়েছে। তা নিয়ে কথা হবে। কথা হবে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়েও। বিদেশসচিব গোখেল জানিয়েছেন, “বৃহৎ দুই দেশের কাছেই মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ গভীর দুশ্চিন্তার কারণ, তাই দুই দেশের নাগরিকদের সাংস্কৃতিক, জাতিগত ও ধর্মীয় সমাজের বহুত্ব বজায় রেখে তারা দেখবে যাতে সন্ত্রাস ও মৌলবাদ মাথাচাড়া না দেয়। ” দুই রাষ্ট্রপ্রধানের একের পর এক বৈঠক থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের কড়া বিরোধিতা করছে চিন এবং তারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে – তাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিছুটা শিথিল হয়েছে। পাহাড় কেটে তৈরি মনোলিথিক পঞ্চরথ দেখার সময়, শুক্রবার নৈশভোজের আগেও দুই নেতাকে মিনিট পনের আলোচনা করতে দেখা গেছে। তখন দোভাষী ছাড়া আর কেউই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। মমল্লাপুরমে সবার শেষে তাঁরা পঞ্চরথ দেখতে গিয়েছিলেন। ভারতে আসার আগে বেজিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘ডেকে পাঠায়’ চিন। তারপরে চিন জানিয়ে দেয়, কাশ্মীরের বিষয়টি তারা গভীর ভাবে নজরে রেখেছে এবং এ ব্যাপারে তারা তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু পাকিস্তানেরই পক্ষে থাকবে। দ্রুত এর জবাব দেয় ভারতও। নয়াদিল্লি জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই এ ব্যাপারে অন্য কোনও দেশ কথা বলুক তা নয়াদিল্লি চায় না এবং একথা চিন ভালোই জানে। পড়ুন, দ্য ওয়ালের পুজোসংখ্যার বিশেষ লেখা... https://www.four.suk.1wp.in/pujomagazine2019/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%81-%e0%a6%ab%e0%a6%b2-%e0%a6%90%e0%a6%b6-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b7-%e0%a6%93-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c-2/