শেষ আপডেট: 21st June 2023 14:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত প্রায় ৫০ দিন ধরে মণিপুর জ্বলছে। জাতিদাঙ্গার কারণে মৃত্যু মিছিল চলছে। কয়েক হাজার মানুষ পরিবার নিয়ে ঘর ছাড়া। এ হেন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন একেবারে নীরব, তখন তাঁর মার্কিন সফরের মধ্যে এ নিয়ে বিবৃতি দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
তাঁর নাতিদীর্ঘ বিবৃতিতে সনিয়া এদিন একবারও প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেননি, বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার কথাও বলেননি। শুধু কাতর আর্জি জানিয়েছেন, মণিপুরে জাতিদাঙ্গা বন্ধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনার। সনিয়া এও বলেছেন, আমি একজন মা, তাই মা হয়ে মণিপুরের মা বোনেদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সন্তান ও পরিবারের কথা ভেবে আপনারা চেষ্টা করুন যাতে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়।
মণিপুর নিয়ে সনিয়া গান্ধীর বিবৃতি প্রকাশের এই সময় নির্বাচন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে গিয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অনাবাসী ভারতীয়দের তাঁকে নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার ছবিতে বিজেপি ও সরকারি গণমাধ্যম সোশাল মিডিয়া ভরিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে মোদীর সঙ্গে টেসলা ও টুইটার কর্তা ইলন মাস্কের ছবিতে ভরে গেছে সমাজ মাধ্যম। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইলন মাস্ক বলছেন, তিনি মোদীর ফ্যান।
সার্বিক এই পরিস্থিতির মধ্যে সনিয়া যেভাবে মণিপুর নিয়ে কাঁদো কাঁদো মুখে বিবৃতি দিয়েছেন, তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের নজর এড়াবে না বলেই মনে করছে কংগ্রেস। সাবেক জাতীয় দলের নেতারা মনে করছেন, আমেরিকায় গিয়েও মণিপুর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে মোদীকে।
The unprecedented violence that has devastated the lives of people in Manipur has left a deep wound in the conscience of our nation.
— Congress (@INCIndia) June 21, 2023
I am deeply saddened to see the people forced to flee the only place they call home.
I appeal for peace and harmony. Our choice to embark on the… pic.twitter.com/BDiuKyNGoe
সনিয়া এখন কংগ্রেস সভানেত্রী নেই। কিন্তু তার রাজনৈতিক ওজন এখনও খুব একটা কম নয়। একদা ইউপিএ সভানেত্রী এখনও কোনও কথা বললে তা সর্বস্তরে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সবটাই ধারণা তৈরির খেলা চলছে। বিজেপি দেখাতে চাইছে মোদী বিশ্ব দরবারে কতটা জনপ্রিয় নেতা। আর কংগ্রেস বোঝাতে চাইছে, একদিকে যখন মণিপুর জ্বলছে তখন সেদিকে না তাকিয়ে সানন্দে বিদেশ ভ্রমণে বেরিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কোনও সংবেদনশীলতা নেই।
মণিপুরে বিজেপি সরকার রয়েছে। কেন্দ্রেও বিজেপি সরকার। কর্নাটক ভোটের পর মণিপুরে গিয়ে ৩ দিন ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। সেখানে সেনা ও আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও হত্যালীলা চলছে। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। সেই আগুন এখনও পর্যন্ত থামার নামই নিচ্ছে না। মণিপুরের সেই জ্বলন্ত ছবিকেই এখন মোদী ও তাঁর ডবল ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে নেমে পড়েছে কংগ্রেস।
‘মণিপুর কি ভারতের অংশ নয়?’ বাজপেয়ীর নাম নিয়ে মোদীকে খোঁচা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর