শেষ আপডেট: 24th August 2023 05:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাসমতী বাদে অন্য সব ধরনের চাল রফতানি গত মাসে বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi government)। চলতি মাসে পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক চাপিয়ে ওই নিত্য প্রয়োজনীয় সবজিটিও বিদেশে পাঠানোয় কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। এবার পালা চিনির (ban sugar export)। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী মাস থেকে চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
পেঁয়াজ নিয়েও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বহু দেশে। পেঁয়াজ নিয়ে সিদ্ধান্তে দেশে আবার উল্টো সমস্যায় পড়েছে সরকার। মহারাষ্ট্রের চাষিরা ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধে করে দিয়েছে। তাদের অসন্তোষের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার চড়া দাম দিয়ে চাষিদের থেকে দু লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চাল এবং পেঁয়াজ নিয়ে কড়াকড়ির মূলে আছে দেশের বাজারে পণ্য দুটির জোগান স্বাভাবিক রাখা। বিগত দেড় বছরের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তও দেশের বাজারের কথা বিবেচনায় রেখে। সেপ্টেম্বর থেকে ভারত পর্যায়ক্রমে ইওরোপ, আমেরিকার বাজারে ৬১ লাখ মেট্রিক টন চিনি রফতানি করে থাকে। ২০১৬ সালে এক কোটি ১১ লাখ মেট্রিক টন চিনি রফতানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এবার আখ উৎপাদনকারী প্রধান দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আখের চাষ প্রবলভাবে মার খাবে। তাই আগেভাবে সরকার চিনি রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করতে চলেছে।
আর মাস ছয়-সাতের মধ্যে লোকসভার নির্বাচন। বিরোধীরা ইতিমধ্যে মূল্যবৃদ্ধিকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান ইস্যু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারও জিনিসপত্রের দাম কমাতে সচেষ্ট। বর্ষা মিটতেই দেশে উৎসবের মরসুম শুরু হবে। তখন খাদ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আসন্ন উৎসবের মরসুম এবং লোকসভা ভোটের কথা বিবেচনায় রেখেই একের পর এক খাদ্যপণ্য রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়: জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা