শেষ আপডেট: 12th December 2024 14:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাসের রেষারেষি বন্ধে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য।
বেপরোয়া চালকদের ঠেকাতে এবার একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ আনছে রাজ্য। এই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি বাসের যাত্রাপথের পুঙ্খানুপুঙ্খ ‘ঠিকুজি’ জানতে পারবেন পরিবহণ কর্তারা।
ফলে কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে ওই অ্যাপের সাহায্যে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাসের গতি থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবে রাজ্য।
জানা যাচ্ছে, উন্নত প্রযুক্তির এই মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে প্রত্যেক চালককে। এবং বাসের স্টিয়ারিং ধরার আগে তা অন করতে হবে। এই অ্যাপে সংশ্লিষ্ট বাস চালকের নাম, ফোন নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর সবই যুক্ত করতে হবে।
নয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে শুধু বাসের গতিপথ জানা যাবে তাই নয়, বাসটি নির্দিষ্ট গতিবেগ অতিক্রম করলেই অ্যাপের মাধ্যমে চালকের মোবাইলে ‘রেড অ্যালার্ট’ এর নোটিশ যাবে। চালক কথা না শুনলে বাসের মালিক এবং পরিবহণ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে পৌঁছবে দ্বিতীয় রেড অ্যালার্ট। তারপরও চালক যদি গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পুরো অ্যাপটাই পরিচালিত হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি দফতর ও রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে এই মোবাইল অ্যাপ তৈরি করছে। দ্রুতই তা লাগু করা হবে।
গত নভেম্বরে সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের। মায়ের সঙ্গে স্কুটিতে চেপে স্কুল থেকে ফিরছিল শিশুটি। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দফায় বৈঠকও হয়। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, বাসের রেষারেষি বন্ধে মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। বৈঠকে ছিলেন পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন, আইজি ট্রাফিক (পশ্চিমবঙ্গ পুলিস) সুকেশ জৈন-সহ বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানেই পথ দুর্ঘটনা রুখতে বেপরোয়া বাস চালকদের ওপর নজরদারির জন্য এই অ্যাপ নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়।
বস্তুত, বাসের রেষারেষি বন্ধে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শহরের সব রাস্তায় স্পিড ব্রেকার, সিসিটিভি নজরদারি, দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় বাড়তি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে রাজ্য।