শেষ আপডেট: 27th September 2024 22:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে জুনিয়র চিকিৎসকদের গণ কনভেনশনে যোগ দিতে এসে গর্জে উঠলেন অভিনেতা-বাচিক শিল্পী মীর।
আন্দোলকারী পড়ুয়ারা বড় অডিটোরিয়ামের জন্য আবেদন করলেও তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে মীরের জবাব, "প্রশাসকের বিরুদ্ধে কথা বললে এরকমটা হয়! আমরাও নাটক করতে গিয়ে এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। তবে এর আগে ডাক্তারদের আন্দোলনে দেখেছি, রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে ওরা ওদের আন্দোলনের কথা বলেছে। ফলে হল না পেলেও খোলা আকাশের নীচে হলেও এরকমই হাউসফুল হবে।"
সামনে পুজো। পুজোতে ফেরার আহ্বান প্রসঙ্গ টেনে মীর বলেন, "পুজোটা খারাপ হোক কেউ চাই না, কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, একটি বাড়িতে কিন্তু এবারে পুজোর সময়ও ঢাক বাজবে না, শাঁখ বাজবে না, আনন্দ নেই, সেটা হল নির্যাতিতার বাড়ি। এটা ভাবলেই লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে। এরপরও কোন আনন্দে নতুন পোশাক গায়ে দেব?"
দৃষ্টিভঙ্গি বদলের কথাও বলেছেন মীর। অভিনেতা-বাচিক শিল্পীর কথায়, "টানা এতগুলো রাস্তায় বসে আন্দোলন করার পরও ভয়াবহ বন্যার খবর পেয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা সেখানে ছুটে গিয়েছেন, মানুষের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত হয়েছেন। তাই বলব, মানুষের জীবন বাঁচানোর এই কর্মকাণ্ডকে উৎসব বললে জাক্তাররাও উৎসবে ফিরেছেন, কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু অন্যরকম।"
এদিন গণ কনভেনশনে আজমল কাসভের প্রসঙ্গ টেনে অভিনেতা-পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, "হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভিডিওতে দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও কাসভের (আজমল কাসভের) ফাঁসি হতে ৫ বছর লেগেছিল। তাই আমরা আর একটু ধৈর্য্য ধরব, যাতে বিচার হয়।"
অনেকটা একই সুরে মীরও বলেছেন, পাড়ায় সিঙ্গারা, কচুরির দোকানে দেখবেন গরম উঠলে সকলেই চিৎকার করতে থাকেন, আগে আমাকে দিন। ন্যায় বিচার কিন্তু পাড়ার দোকানের ওই সিঙ্গারা নয়। চিকিৎসকরাও এটা বোঝেন, এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ফলে ধৈর্য্য ধরতে হবে। তবে আদৌ বিচার হবে কিনা সেটা সময় বলবে।"
ইতিমধ্যে বিচারেরর দাবিতে ৫০ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। মীরের বার্তা, ৫০ দিন কেন, যতদিন সময় লাগুক না কেন এই লড়াই সগৌরবে চলছে, চলবে।