দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করল বাসিন্দারা। তুমুল হট্টগোল বলাগড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক।

২৫ ডিসেম্বরের ঘটনা। বলাগড়ের শেরপুর এলাকায় ১৩ বছরের এক নাবালিকা তার প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখছিল। অভিযোগ, সেইসময় শেরপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা দেবাশিস বিশ্বাস ওই নাবালিকাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে একটি নির্মীয়মাণ ঘরে যৌন নিগ্রহ করে। নারায়ণ দাস নামে নাবালিকার এক প্রতিবেশী যুবক তা দেখে ফেলেন এবং দেবাশিসকে বিরত করার চেষ্টা করেন। নারায়ণ জানান, তখন ঘটনা কাউকে জানালে ফল ভালো হবে না বলে তাঁকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত।

মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্তর বাড়িতে চড়াও হয় নাবালিকার পাড়ার লোক। ভাঙচুর করা হয় দুটি বাড়ি। ঘটনার পর থেকে পলাতক দেবাশিস। স্থানীয় বাসিন্দা অঞ্জনা দাস জানান, অভিযুক্ত যুবকরা চার ভাই। ওরা পাড়ায় কারও সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করে না। ধর্ষণের ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীর নাম জড়ানোর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলেন, “একটা ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”

এদিকে অভিযুক্তের বাবা আনন্দ বিশ্বাস বলেন, “আগে কংগ্রেস করতাম। ৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কর্মসূচিতে থাকি। ওরা বলছে ছেলে অপরাধ করেছে। কী হয়েছে জানি না। তবে আমার উপর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অনেক দিনের আক্রোশ। দেবাশিস রাজমিস্ত্রির কাজ করত। মুম্বইয়ে থাকত। এখন মুরগির গাড়িতে কাজ করে। ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে মাঘ মাসে।” তৃণমূল বিধায়ক পাল্টা বলেন, “দুষ্কৃতীরা কোনও দলের নাম ভাঙায়। এও কোনও দলে আছে। এরা মানুষকে ভয় দেখাতে দলের নাম ভাঙায়।”